সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলা খুকনী আটার দাগের বাসিন্দা, মানসিক রোগী মোতালেবের পেট থেকে ২৩টি কলম বের করেন চিকিৎসকরা। বিনা অস্ত্রোপচারে দুই দফায় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে কলমগুলো বের করা হয়। সোমবার চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছাড়ার সময় তিনি ওই প্রতিজ্ঞা করেন। আবদুল মোতালেব আর কখনও কলম খাবেন না বলে জানিয়েছেন। সোমবার চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছাড়ার সময় তিনি এ প্রতিজ্ঞা করেন। সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের বাসিন্দা মানসিক রোগী মোতালেবের পেট থেকে ২৩টি কলম বের করেন চিকিৎসকরা। বিনা অস্ত্রোপচারে দুই দফায় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে কলমগুলো বের করা হয়। হাসপাতাল ছাড়ার সময় তাকে ফুল দিয়ে শুভ কামনা জানান চিকিৎসকরা। এ সময় মোতালেব বলেন, আমি আর কোনো দিন কলম খাব না। অনেক দিন আগে একটা কলম খেয়েছিলাম। কিন্তু সেই কলম আর বের হয় না। তাই ভাবলাম আরেকটা খাইলে মনে হয় বের হবে। কিন্তু সেটাও বের হয় না। তাই একেক করে অনেকগুলো কলম খেয়ে ফেলেছি। আমি পেটের ব্যথায় অনেক কষ্ট করেছি। আজ আমি সুস্থ। আর কোনো দিন এ সব খাব না।’ গত ২৫ ও ২৯ মে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তার পেট থেকে এন্ডোস্কপির মাধ্যমে কলমগুলো বের করে আনেন চিকিৎসকরা।, মোতালেব চার থেকে পাঁচ বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে কলম গিলে খান বলে চিকিৎসকদের ধারণা। গত ২৪ মে পেটের ব্যাথা নিয়ে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি হন তিনি।, এর আগে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক রোগীর পেট থেকে এন্ডোস্কপির মাধ্যমে একটি মোবাইল ফোন বের করেছিলেন চিকিৎসকরা। শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডা.জাহিদুল ইসলাম বলেন,দুইবারের প্রচেষ্টায় এন্ডোস্কপির মাধ্যমে তার পেট থেকে ২৩টি কলম বের করা হয়। বাংলাদেশে এমন সাফল্য এটাই প্রথম। আমরা অত্যাধুনিক ভিডিও এন্ডোস্কপি মেশিনের মাধ্যমে এবং আমাদের দক্ষতা দ্বারা অপারেশন ছাড়াই মানসিক ভারসাম্যহীন মানুষের পেট থেকে কলমগুলো বের করে আনতে সক্ষম হয়েছি।, হাসপাতালটির কনসালটেন্ট ডা. আমিনুল ইসলাম খান বলেন,রোগী প্রথমে পেটে ব্যথা নিয়ে মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। পরে মেডিসিন ওয়ার্ডের চিকিৎসকরা এক্স-রে ও আল্ট্রাসনোগ্রাম করে পেটের সমস্যা সনাক্ত করতে পারছিলেন না। পরে কনসালটেন্ট হিসেবে রোগীকে আমার কাছে পাঠানো হয়।‘ তিনি আরও বলেন,এতগুলো কলম দেখে প্রথমে চমকে যাই। কলমগুলো একে একে পাকস্থলীতে সেট হয়ে গিয়েছিল। এখন রোগী ভালো আছেন। ২০ দিন তাকে হাসপাতালে রাখার পর আজ দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে রিলিজ দেয়া হয়েছে।, মোতালেবের মা লাইলী বেগম বলেন,এক বছর ধরে আমার ছেলে পেটের ব্যথায় ভুগছিল। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা করার পরও সে সুস্থ হয়নি। তখন সে খেতে পারত না, খালি বমি করত। এ কারণে তাকে হাসপাতালে আনা হয়। ১২ বছর ধরে আমার ছেলে মানসিক রোগী। সে কলমগুলো না বুঝেই খেয়ে ফেলেছে।,