রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী ঠেলাগাড়ি প্রতীকের নিজাম উল আযীমের বিরুদ্ধে আবারও নির্বাচনী আচারণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১২ জুন) আচারণ বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ঐ ওয়ার্ডের অপর কাউন্সিলর প্রার্থী মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের গোলাম ফারুক। অভিযোগ সূত্রে জানা, শিরোইল মসজিদ মিশন একাডেমি\'র বালিকা শাখার পাশের একটি গলিতে ওএমএস\'র পণ্য বিতরণের নামে নির্বাচনী আচারণ বিধি লংঘন করা হয়।এসময় ২১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর ও এবার নির্বাচনে ঠেলাগাড়ি প্রতীকে নির্বাচন করা প্রার্থী নিজাম উল আজীম, বিধি বহির্ভূতভাবে নিজস্ব সিল স্বাক্ষর দেওয়া টোকেনের মাধ্যমে ওএমএস এর পণ্য বিতরণ করেন ও পণ্য ক্রয়কারীদের নিকট ভোট চায় তাঁর সমর্থকরা।সেখানে কাউন্সিলর প্রার্থী নিজাম উল আজীমের সীল স্বাক্ষর বিহীন টোকেন ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তিকে ওএমএস\'র পণ্য দেওয়া হয়নি। ওএমএস\'র পণ্য না পেয়ে কয়েকজন উপস্থিত ঘটনাস্থলে বলেন, ওয়ার্ডের ওএসএম এর পণ্য বিক্রি হচ্ছে মনে করে আমরা কয়েকজন সেখানে পণ্য নিতে গেলে আমাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।বলা হয় শুরুমাত্র কাউন্সিলর অফিস থেকে নিজামের সীল স্বাক্ষরসহ টোকেন যাদের দেওয়া হয়েছে তাঁরাই শুধু পণ্য পাবেন।ঐসময় ঘটনস্থলে কাউন্সিলর প্রার্থী নিজাম উল আজীমের পক্ষে ভোট চাওয়া হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিলকারী মিষ্টি কুমড়া প্রতীকের অপর কাউন্সিলর প্রার্থী গোলাম ফারুক বলেন, এর আগে সাবিত্রী উচ্চ বিদ্যালয়ে টিসিবি\'র পণ্য বিতরণ ও ভোট চেয়ে ১৩০০ পরিবারকে জিম্মি করা হয়।বিভিন্ন গণমাধ্যমে সে ঘটনার সংবাদ ফলাওভাবে প্রকাশ হয়।কিন্তু এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো ব্যবস্থা নেয়নি নির্বাচন কমিশন।আজ ১২ জুন সোমবার শিরোইল মসজিদ মিশন একাডেমি পাশে ওএমএস এর পণ্য বিতরণের নামে ভোট বানিজ্য করা হয়েছে।প্রার্থীর সীল স্বাক্ষর যুক্ত টোকেনের মাধ্যমে পণ্য দেওয়া হচ্ছিলো।সেখানে পণ্যের মাধ্যমে তার কর্মী সমর্থকরা ভোট চাইছিলেন।এটা চরম আচারণ বিধি লংঘন।টিসিবি\' ও ওএমএস এর পণ্যকে জিম্মি করে ভোট ব্যাংক বৃদ্ধিসহ ভোটারদের পন্য বঞ্চিত হওয়ার ভয় দেখিয়ে ভোট চাওয়া হচ্ছে।অভিযোগ দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছি না। এ বিষয়ে কথা বলতে কাউন্সিলর প্রার্থী নিজাম উল আজীমকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। জানতে চাইলে রাজশাহী সিটি নির্বাচনে দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত রিটানিং কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। উল্লেখ্য, হলফনামা অনুযায়ী কাউন্সিলর প্রার্থী নিজাম উল আজীমের বিরুদ্ধে একটি মামলা ছিলো, যা চূড়ান্ত রিপোর্ট থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।কৃষি খাত ও ব্যাংকসহ অন্যান্য খাতে তাঁর বাৎসরিক আয় ১৮ লক্ষ ৯ হাজার ৫০২ টাকা।এর মধ্যে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বাৎসরিক আয় ৬ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে।এছাড়াও নিজ নামে নগদ ৪ লাখ ৪১ হাজার সত্তর টাকা ও স্ত্রীর নামে ৯ লাখ ৭৩ হাজার টাকা আছে।নিজ নামে ব্যাংকে আছে ২ লাখ বিশ হাজার টাকা এবং স্ত্রীর নামে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা।অন্যান্য সেভিং এ তার স্ত্রীর নামে আছে ১২ লাখ ৮৪ হাজার টাকা।একটি ১৫০০ সিসির সেলুন কারসহ একটি মোটর সাইকেল আছে তাঁর।স্ত্রী ও তার নিজের স্বর্ণ আছে ৬৫ ভরি।