যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ (মিলিয়ন মেট্রিক ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট) এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে সরকারের মোট ব্যয় হবে ৫৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩০২ টাকা। জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে এই এলএনজি আমদানি করা হবে। বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সাঈদ মাহবুব খান বলেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অধীন পেট্রোবাংলার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের এমন/এস এক্সিলারেট এনার্জি এলপি থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫৭৪ কোটি ৬৫ লাখ ৭৪ হাজার ৩০২ টাকা। তিনি জানান, সিঙ্গাপুর থেকে আরও এক প্রস্তাবের ভিত্তিতে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করা হবে। এতে ব্যয় ধরা হয় ৪৬৫ কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ৫৫৫ টাকা। এছাড়া সিঙ্গাপুরের অন্য এক প্রতিষ্ঠান এমন/এস গুনভোর সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়। ৫২৮ কোটি ৩৫ লাখ ৯৮ হাজার ৫৭ টাকা ব্যয়ে ওই এলএনজি আমদানি করা হবে। জানা গেছে, এলএনজি আমদানির জন্য বেশকিছু দেশের সঙ্গে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি রয়েছে। কিন্তু সরকার খুব সংক্ষিপ্ত সময়ে এলএনজি আমদানি করতে চায়। এজন্য ২০১৯ সালে খোলা বাজার থেকে এলএনজি আমদানির লক্ষ্যে এমএসপিএ পরিকল্পনা নেওয়া হয়। তারই অংশ হিসাবে ২০২১ সালে জাপান, সিঙ্গাপুর, যুক্তরাজ্য এবং দুবাইয়ের চার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে মাস্টার সেল অ্যান্ড পার্চেজ অ্যাগ্রিমেন্ট করার সিদ্ধান্ত হয়।