ভারতের জাতীয় স্বার্থে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে নির্বাচনের প্রাক্কালে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ঘিরে এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া উচিত হবে না বলে মনে করে ভারত। বুধবার মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি পর্যায়ের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এ মনোভাবের কথা জানান ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল।খবর ইকোনমিক টাইমসের। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আসন্ন যুক্তরাষ্ট্র সফরের আগে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে এশিয়া এবং ভারত মহাসাগর অঞ্চলে (আইওআর) চীনের ভূমিকার দিকে মনোযোগ ছিল বেশি। তবে এ আলোচনায় বাংলাদেশের পাশাপাশি মালদ্বীপ ও পাকিস্তানের নানা বিষয়ও উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের দুই প্রতিবেশী দেশ মালদ্বীপে এ বছরের শেষের দিকে এবং বাংলাদেশে আগামী বছরের শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভারত মনে করে প্রতিবেশী দেশগুলোতে এমন কোনো উদ্যোগ নেওয়া উচিত নয়, যা তাদের জাতীয় স্বার্থে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ইকোনোমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত মহাসাগর অঞ্চলে চীনের দীর্ঘমেয়াদি কৌশলের ওপর সুনির্দিষ্ট ফোকাসসহ এশিয়াজুড়ে বেইজিংয়ের বিস্তৃত পদচারণার বিষয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া প্রতিবেশী দেশগুলোর অন্যান্য আঞ্চলিক বিষয়ও আলোচনায় উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বেশ কয়েকটি সূত্রের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের পাশাপাশি মিয়ানমারে অর্থনৈতিক করিডোরের মাধ্যমে চীন নিজের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে। আগামী বছরগুলোতে বেইজিং ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে শক্তি প্রদর্শন করবে। দক্ষিণ চীন সাগর অঞ্চলে চীনের আঞ্চলিক দাবি এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলজুড়ে বেইজিংয়ের প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রও চিন্তিত। ভারত মহাসাগরে আধিপত্য বিস্তারে চীনের সব ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে এবং বাংলাদেশ ও শ্রীলংকা ছাড়া হিমালয়ের অন্য দেশগুলোতেও চীন আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে।