তিতাসে ইউপি চেয়ারম্যানের গাড়িতে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ

প্রকাশিতঃ জুন ১৮, ২০২৩ | ১১:১০ অপরাহ্ন
মোঃ সজিব জেলা প্রতিনিধি কুমিল্লা

কুমিল্লা তিতাস উপজেলার ৬নং ভিটিকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো: বাবুল আহমেদ\'র ব্যক্তিগত গাড়িতে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে গাড়ির কাঁচসহ বিভিন্ন অংশ ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগে উল্লেখ্য করেন। (১৬ জুন) শুক্রবার সন্ধ্যায় বাতাকান্দি বাস স্ট্যাশনে এ হামলার শিকার হন তিনি। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে প্রাণে রক্ষা পান এবং নিরাপদে ঢাকা চলে যান চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ। এ ঘটনায় বাবুল চেয়ারম্যানের স্ত্রী নার্গিস আহমেদ বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ বলেন, শুক্রবার বিকেলে আমি আমার নিজ বাড়ি তিতাসের হরিপুর যাই, আমার বাবা-মায়ের কবর জিয়ারতের উদ্দেশ্যে। এসময় অত্র ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লার লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা দিতে আসতেছে, এমন খবর পেয়ে আমি দ্রুত বাড়ি থেকে চলে আসি। আসার সময় আমার গাড়ির পিছনে সন্দেহ জনক দু\'টি সিএনজি পিছু নেয়। আমি বাতাকান্দি বাস স্ট্যাশনে পৌছে যানজটে পরলে, আমার পিছু নেয়া দুইটি সিএনজি থেকে নেমে ১০/১২ জন যুবক আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে অতর্কিত হামলা করে এবং আমার ব্যবহৃত প্রাইভেটকার ঢাকা মেট্রো-ঘ ১৮-০৮৪১ ভাংচুর করে। তখন আমার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায় এবং আমি ঢাকা চলে আসি। এঘটনায় আমার স্ত্রী নার্গিস আহমেদ বাদী হয়ে তিতাস থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত করা সাবেক চেয়ারম্যান আবু মোল্লার বড় ছেলে বাদল মোল্লা বলেন, বাবুল চেয়ারম্যানের বাড়ি হতে আমাদের বাড়ি প্রায় দুই কিলোমিটার দুরে। আমাদের লোকজন শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত দাউদকান্দি উপজেলার জুরানপুর মেজর জেনারেল (অবঃ) সুবিদ আলী ভূইয়া এমপি\'র বাড়িতে ছিল। কে বা কারা হামলা করেছে তা আমরা জানি না। বাবুল আহমদে আমাদের নামে মিথ্যা বলছে। জহির হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে এটি সাজানো ঘটনাও হতে পারে। এদিকে বাতাকান্দি বাজারের কয়েকটি দোকানের ব্যবসায়ীদের সাথে কথা হলে জানা যায়, কে বা কারা হামলা করেছে, তারা জানে না। তবে কয়েকজন যুবকের হাতে কাঠের রোল ছিলো তারা দেখেছে এবং রাস্তায় একটি গাড়ী ভাংচুর করেছে এমন ঘটনাও শুনেছে। এবিষয়ে তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, হামলার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাউকে পায়নি এবং বাবুল চেয়ারম্যানও নাকি ঢাকা চলে গেছে। তবে এঘটনায় বাবুল চেয়ারম্যানের স্ত্রী একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন, আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নিবো। উল্লেখ্য, গত বছরের ৬ ডিসেম্বর বিকেলে উপজেলার মানিককান্দি গ্রামে ভিটিকান্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা গ্রুপ ও একই গ্রামের সাইফুল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান বাবুল আহমেদ উপস্থিত থাকা অবস্থায় আবু মোল্লা চেয়ারম্যানের ছেলে যুবলীগ নেতা জহিরকে সাইফুল মেম্বারের লোকেরা তুলে নিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই হত্যা মামলায় বাবুল চেয়ারম্যানকে ৬ নাম্বার আসামি করা হয়। এর জের ধরেই বাবুল চেয়ারম্যানের উপর হামলা করা হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।