বেইজিং-ওয়াশিংটনের সম্পর্ক উন্নয়নে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফর এখন আলোচনার কেন্দ্রে। পূর্বনির্ধারিত সফরের অংশ হিসেবে রোববার চীনে পৌঁছান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। গত পাঁচ বছরে প্রথম কোনো মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বেইজিং সফর করছেন ব্লিঙ্কেন। সোমবার সকালে বেইজিংয়ে চীনা প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপ তাইওয়ান প্রসঙ্গে চীনের শীর্ষ কূটনীতিক ও সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেছেন, তাইওয়ান ইস্যুতে সমঝোতার কোনো সুযোগ নেই। ওয়াং ই বলেন, বেইজিং-ওয়াশিংটনের সম্পর্কের ঘাটতির জায়গাটা হচ্ছে, তার দেশের সম্পর্কে ভুল ধারণা রয়েছে আমেরিকার। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা জানান। বিভিন্ন সময় চীনের ওপর আরোপিত একতরফা নিষেধাজ্ঞা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে বাধার অভিযোগ এবং অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলানোর আহ্বান জানিয়েছেন এই চীনা কূটনীতিক। দুই দেশের মধ্যে যে প্রতিযোগিতা চলছে তা যেন সংঘর্ষে না গড়ায়, এ বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন ওয়াং ই। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে চীনা ‘গোয়েন্দা’ বেলুন, তাইওয়ান ও বাণিজ্য ইস্যুতে দুই দেশের সম্পর্ক চরম পর্যায়ে রয়েছে। বাইডেন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিচ্ছেন ব্লিঙ্কেন। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় গত মাসে ঊর্ধ্বতন চীনা ও মার্কিন কর্মকর্তারা মিলিত হলে সম্পর্কের বরফ গলা শুরু হয়। সূত্র: বিবিসি