ইনসাফ কায়েম কমিটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ও অন্যায়। গণঅধিকার পরিষদের অভ্যন্তরীণ বিবাদে যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে তা দুঃখজনক। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমাদের কর্মসূচিতে সব রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনকে আমরা আমন্ত্রণ জানাই। সেই সুবাদে গণঅধিকার পরিষদের ড. রেজা কিবরিয়াকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল এবং তিনি এসেছেন বলে আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণের জন্য আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানবাধিকার বাস্তবায়নের প্রতি তার সংকল্প ও অঙ্গীকার আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে। কিন্তু জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণকে অজুহাত হিসাবে ব্যবহার করে গণঅধিকার পরিষদ তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলকে যেভাবে উন্মোচন করেছে তা ন্যক্কারজনক ও নিন্দনীয়। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কোনো ধরনের গণবিরোধী, মানবাধিকারবিরোধী এবং ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তির দোসরের অপপ্রচারে জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটিকে টলানো যাবে না। ভিত্তিহীন অভিযোগ অনৈতিক এবং বিদ্যমান ফ্যাসিস্ট শক্তি ও রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনকে সজ্ঞানে দ্বিধা বিভক্ত করার তৎপরতা। আমরা এর নিন্দা করি। ফ্যাসিস্ট শক্তি ও ব্যবস্থার বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করাই আমাদের সবার কাজ হওয়া উচিত, বিভক্তি ও বিভাজন নয়। আজগুবি ও ভিত্তিহীন অভিযোগ জাতীয় ইনসাফ কায়েম কমিটির প্রস্তাবকে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলার অক্ষমতা বলে আমরা মনে করি। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা বারবারই বলেছি, জাতীয় ইনসাফ কমিটি কোনো রাজনৈতিক দল নয়। এই সংগঠনটি ২০১২ সালে খালেদা জিয়ার প্রেরণায় সম্পূর্ণ নির্দলীয় সংগঠন হিসাবে গড়ে তোলা হয়। এটি সম্পূর্ণভাবে একটি মানবাধিকার সংগঠন। মানবাধিকার সংগঠন হিসাবে কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমাদের বিন্দুমাত্র কোনো প্রতিযোগিতা নেই। আমরা আশা করব, গণঅধিকার পরিষদ তাদের বিভ্রান্তি ও অভ্যন্তরীণ কোন্দল কাটিয়ে উঠবে। আমরা আশা করব, বর্তমান চলমান আন্দোলনে ক্ষমতাসীন ফ্যাসিস্ট শক্তির অপতৎপরতার কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।