রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটের ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন। বুধবার ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় গণনা। আসতে শুরু করেছে ফলাফল। ১৫৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪৪ কেন্দ্রের ফলাফলে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন পেয়েছেন ১৪৬৭৭৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন নাঙ্গল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১২৫৫২ ভোট। এবারের রাসিক নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থী মুরশিদ আলম (হাতপাখা) আগেই নির্বাচন বয়কট করায় মেয়র পদে প্রার্থী তিনজন। তাদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন (নৌকা) ছাড়াও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির প্রার্থী লতিফ আনোয়ার (গোলাপ ফুল) রয়েছেন। এবার ২৯টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থী ১১১ জন। একটি ওয়ার্ডে একজন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৪৬ জন প্রার্থী। এখানে ভোটার ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। এ ছাড়া তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার রয়েছেন ছয়জন। তৃতীয় লিঙ্গের একজন সংরক্ষিত কাউন্সিলর প্রার্থীও রয়েছেন। ১৫৫টি কেন্দ্রে ইভিএমে সিটি নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়েছে। ভোটকক্ষ ছিল ১১৫৩টি। ১৪৬৩টি ক্যামেরার মাধ্যমে রাসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হয়। এদিন সকাল থেকেই রাজশাহী ও সিলেট নির্বাচনে ছিল ঢাকার চোখ। কেন্দ্রে কেন্দ্রে স্থাপিত সিসি টিভি ক্যামেরার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল, নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অবসরপ্রাপ্ত আহসান হাবীব খান, নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা নির্বচন ভবনের কন্ট্রোল রুমে বসে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছেন।