ডা. সংযুক্তার অধীনেই ভর্তি হয়েছিলেন আঁখি

প্রকাশিতঃ জুন ২২, ২০২৩ | ৭:০৪ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনেই মাহবুবা রহমান আঁখি ভর্তি হয়েছিলেন বলে জানিয়েছে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার হাসপাতালের ব্যবস্থাপক মো. মামুনুর রশীদ রাসেল এ কথা জানান। তিনি বলেন, ডা. সংযুক্তা সাহার অধীনেই মাহবুবা রহমান আঁখি সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তির আগে মাহবুবার স্বামী ইয়াকুব আলী ডা. সংযুক্তার পিএস ও গাড়িচালক মো. জমিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে রাত ১২টার একটু পর হাসপাতালে আসেন। এরপর ডা. সংযুক্তার অধীনেই তাকে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ডা. সংযুক্তা এর আগে রাত সাড়ে ৯টায় হাসপাতাল ত্যাগ করেন। হাসপাতাল ত্যাগ করার বিষয়টি তিনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাননি। আমরা ভোর ৪টার দিকে বিষয়টি জেনেছি। আমাদের কাছে সব ডকুমেন্ট আছে। তদন্ত শেষ করে আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাব। বুধবার সকাল ১০টায় সংবাদ সম্মেলন করার কথা থাকলেও তা স্থগিত করে ঢাকার সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন মো. মামুনুর রশীদ রাসেল। এর আগে মঙ্গলবার নিজ বাসায় করা সংবাদ সম্মেলনে ডা. সংযুক্তা সাহা বলেছিলেন, মো. জমির হাসপাতালের কর্মচারী। মাহবুবা রহমান আঁখি ও তার নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেছেন তিনি। ডা. সংযুক্তার ভাষ্য, আঁখিকে যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়, তখন তিনি হাসপাতালে ছিলেন না। তাকে না জানিয়েই ওই রোগীকে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, কুমিল্লার তিতাস উপজেলা থেকে অন্তঃসত্ত্বা আঁখিকে ৯ জুন রাজধানীতে এনে সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বজনদের অভিযোগ, ভুল অস্ত্রোপচারে আঁখির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়। ১১ জুন মৃত্যু হয় নবজাতকের। এর মধ্যে আঁখির অবস্থাও খারাপ হতে থাকে। পরে তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। সোমবার সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। আঁখির স্বামী চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় অবহেলা ও মিথ্যাচারের অভিযোগ এনে বুধবার ধানমন্ডি থানায় মামলা করেছেন। এদিকে শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লিখিত আদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ডা. সংযুক্তাকে হাসপাতালে সেবা দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সংযুক্তাকে গ্রেফতার ও হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল দাবি : ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী আঁখি ও তার নবজাতক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় ডা. সংযুক্ত সাহা ও জড়িত চিকিৎসকদের গ্রেফতার এবং সেন্ট্রাল হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিলের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে গিয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়ে এ দাবি জানান। প্রতিনিধি দলে ছিলেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান ও ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী মুনিরা। স্মারকলিপিতে সেন্ট্রাল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আঁখির পরিবারকে ২ কোটি টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে। দুই চিকিৎসকের জামিন মেলেনি : আদালত প্রতিবেদক জানান, আঁখির স্বামীর করা মামলায় গ্রেফতার হওয়া সেন্ট্রাল হাসপাতালের দুই চিকিৎসক শাহজাদী ও মুনা সাহার জামিন নামঞ্জুর হয়েছে। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামানের আদালতে তাদের আইনজীবী জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন।