মনপুরায় ট্রলারসহ ২ জেলে অপহৃত, মুক্তিপণ দাবি

প্রকাশিতঃ জুলাই ৫, ২০২৩ | ৪:৪২ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ভোলার মনপুরা উপজেলার ৩টি জেলে ট্রলারে হাতিয়া সংলগ্ন মেঘনা নদীতে মাছ শিকারের সময় হামলা চালিয়েছে জলদস্যুরা। এ সময় জলদস্যুরা এলোপাতাড়ি মারধর করে মাছ, নগদ টাকা, ট্রালারে মালামাল ও মোবাইল লুট করে নিয়ে যায়। যাওয়ার সময় ২জেলে মাঝিকে অপহরণ করে হাতিয়ার গহীন বনে নিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন অপহৃত জেলেদের আড়তদার বাবু মোহরলাল চক্রবর্তীসহ অপহৃত জেলেদের পরিবারের সদস্যরা। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) ভোর রাতে নোয়াখালী জেলা হাতিয়া উপজেলার উড়ির চর এলাকার মেঘনা নদীতে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। জলদস্যুর কবল থেকে ফেরা কয়েকজন জেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিদিনের মতো তাঁরা হাতিয়া সংলগ্ন উরির চরের দক্ষিণ দিকে মেঘনা নদীতে জাল পেতে অপেক্ষা করছিলেন। ভোর চারটার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়ার দিক থেকে আসা একদল জলদস্যু তাঁদের ওপর হামলা করে।দস্যুরা এ সময় গুলি চালায় এবং ট্রলারগুলো এক জায়গায় করে। তারা এ সময় ৩টি ট্রলারের কয়েক লাখ টাকার মাছ ও মালামাল লুট করে। পরে তারা ২টি ট্রলার ও এর জেলেদের অপহরণ করে।জলদস্যুদের হামলার ভয়ে কেউ মুখ খুলতেও রাজি নন। অপহৃত জেলেরা হলেন, রহিম মাঝি,সুজন মাঝি। এদেরর বাড়ি মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামে।এছাড়াও জলদস্যুদের মারধরে আহত জেলেরা হলেন,সাহেদ,সাগর,শামীম,সাহিদ,জুয়েল,মহিউদ্দিন,হাবিবচারপাসি,শরিফ,রাসেদ,সিকদার চারপাসি,সিদ্দিক,জাহাঙ্গীর,নিজাম,এমরান,কালু মাঝি ও রাসেদ। এদের সবার বাড়ি দক্ষিণ সাকুচিয়ার বিভিন্ন গ্রামে ।নিজাম মাঝির ট্রলার থেকে সকল মালামাল নিয়ে তাদের কে মাঝ নদীতে ছেড়ে চলে যান জলদস্যুদরা । বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টায় জলদস্যুরা অপহৃত জেলেদের পরিবারের কাছে মুঠোফোন করে জনপ্রতি ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে ৩ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে বলে জানান অপহৃত জেলের আড়তদার বাবু মোহরলাল চক্রবর্তী । উপজেলার জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানান,মেঘনা নদীতে ইলিশের বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে হাতিয়ার মহিউদ্দিন বাহিনীর জলদস্যুতা বেড়ে যায়। কয়েকদিন পর পর মেঘনায় জেলেদের ট্রলারে ডাকাতি ও অপহরণের ঘটনা ঘটে। তাই রাতের অরক্ষিত মেঘনায় কোস্টগার্ড ও নৌ-পুলিশের টহলের দাবি জানান জেলে ও মৎস্য ব্যবসায়ীরা। স্থানীয় আড়তদার ও জেলেরা নাম না প্রকাশ করার শর্তে বলেন, ‘যেখানে জলদস্যুরা জেলেদের ওপর হামলা চালায় সেখান থেকে নিঝুমদ্বীপ নৌ-পুলিশ ক্যাম্প মাত্র দেড় কিলোমিটার। নৌ-পুলিশ যদি ইচ্ছে করে তাহলে এক ঘন্টার মধ্যে জলদস্যুদের আটক করতে পারেন। হাতিয়া নিঝুমদ্বীপ নৌ-পুলিশ সাব ইন্সপেক্টর আলামিন জানান,মেঘনা নদীতে জেলে অপহরণ ও ট্রলারে জলদস্যুদের হামলার খবর এখনো আমরা শুনতে পাইনি।মাত্র আপনার কাছ থেকে শুনতে পাইছি । মনপুরা কোস্টগার্ড কন্টিজেন কমান্ডার মো হানিফ জানান, জেলে অপহরণের ঘটনা অপহরণ হওয়া জেলে পরিবার কেহু আমাদের জানায় নাই ।এখন আমি চিন্তা করে দেখি কি করা যায়। এই ব্যাপারে মনপুরা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল ইসলাম জানান, এই প্রথম আপনার কাছে শুনলাম । বিষয়টি খতিয়ে দেখে অপহৃত জেলেদের উদ্ধারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।