মানবতা ও আদর্শের প্রতীক মহাত্মা গান্ধি ও ম্যান্ডেলার মতো হতে চান ইমরান খান। জনতোষণ রাজনীতিতে তাদের দেখানো পথেই চলতে চান তিনি। এই দুজন মানুষকেই নিজের জীবনের সবচেয়ে বড় প্রেরণা বলে উল্লেখ করেন পাকিস্তানের সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। বুধবার ব্রিটিশ দৈনিক দ্য ইনডিপেনডেন্টে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মনের ভেতর পুষে রাখা কথাগুলোর বহিঃপ্রকাশ করেন তিনি। ৯ মে পিটিআই চেয়ারম্যান গ্রেফতারের পরপরই অস্থিতিশীলতা দেখা দেয় গোটা পাকিস্তানজুড়ে। আসন্ন নির্বাচনকে ঘিরে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ইমরানের বিরুদ্ধে এগিয়ে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। একাধিকবার তাকে পাঠানো হচ্ছে জেলে। দলীয় নেতারা করেছে দলত্যাগ। ইতিহাসে কঠিন এসব পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন সব মহামানবেরা। সেই দলে সামিল আছেন মহাত্মা গান্ধি ও ম্যান্ডেলাও। তাই তাদের উদাহরণকে সামনে রেখেই এগিয়ে যেতে চান ইমরান খান। সাক্ষাৎকারের এক পর্যায়ে ইমরান খান বলেন, ‘আমি পেশা হিসাবে রাজনীতিতে আসিনি। আমি কাউকে রাজনীতিতে পেশা হিসাবে বিবেচনা করতে উৎসাহিত করি না। আমার সন্তানদেরও রাজনীতিতে আসতে মানা করি। কারণ এটি সবচেয়ে জঘন্য ক্যারিয়ার। রাজনীতির একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। নেলসন ম্যান্ডেলা, মহত্মা গান্ধি, মুহাম্মদ আলী জিন্নাহর মতো মানুষ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে। তারা নিঃস্বার্থ সেবক। তারা কখনও ক্ষমতা চায়নি। তারা লক্ষ্যের জন্য লড়াই করেছে। এজন্যই তারা আমাকে প্রতিনিয়ত অনুপ্রাণিত করে।’ সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী জানান দেন, তাকে নিপীড়নের জন্য যত ধরনের অভিযোগই আনা হোক না কেন, যতবার জেলে পাঠানো হোক না কেন, আগামী নির্বাচনে তার দলের জয় সুনিশ্চিত। তিনি বলেন, ‘আমি জানি আমাকে আবারও জেলে ঢোকানো হবে। এটি যে কোনো সময়ই হতে পারে। তারা ভয় পায় যে আমি দল থেকে চলে গেলে আমার দল আরও শক্তিশালী হবে। সেজন্য আমাদের কারাগারে রেখে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার নানা অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। কৌশলে আমাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হচ্ছে। তারা যতই আমাদের দমন করার চেষ্টা করবে পার্টি (পিটিআই) তত বেশি সমর্থন পাবে।’