ডেঙ্গু: গাজীপুরে বাসা-অফিসে চলবে অভিযান, লার্ভা পেলে ব্যবস্থা

প্রকাশিতঃ জুলাই ১২, ২০২৩ | ৬:৫৬ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

গাজীপুর সিটিতে ডেঙ্গু রোগ নিধন/প্রতিরোধে বাসা ও অফিসে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালানো হবে। এক্ষেত্রে কোথাও ডেঙ্গু রোগের লার্ভা পাওয়া গেলে দ্বায়িদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র (ভারপ্রাপ্ত) আসাদুর রহমান কিরণ। বুধবার দুপুরে নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া বিষয়ক মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেয়র ওইসব কথা বলেছেন। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এএসএম সফিউল আজমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গাজীপুরের সিভিল সার্জন মো. খায়রুজ্জামান, শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারি পরিচালক মো. শাহীন, গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. জিসানুল হক, কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল মামুন মন্ডল ও নুরুল ইসলাম নুরু প্রমূখ। সভায় মেয়র বলেন, ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া রোগীর সংখ্যা অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে। আমরা সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক ডেঙ্গু ও চিকনগুনিয়া জীবানুবাহী মশা নিধনে ইতোমধ্যে সপ্তাহব্যাপি সচেতনতামূলক প্রচারাভিয়ান শুরু করেছি। এ মশা নিধনে ২০ হাজার লিটার কীটনাশক ২২৪টি হ্যান্ড স্প্রে মেশিন এবং ১২৭টি ফগার মেশিনও ১৫ হাজার লিটার মশা নিধনের ঔষধ প্রস্তুত রয়েছে। আমরা আমাদের সাধ্যমত সিটি কর্পোরেশনের প্রত্যেকটি এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছতার ব্যাপারে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের লোকবলের সংকট রয়েছে। এ সংকটের মাঝেও আমরা সকল কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সিটি কর্পোরেশনে প্রতিটি ওয়ার্ডে বেসরকারি ভাবে ময়লা সংগ্রহের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া আছে। এ ক্ষেত্রে কারো বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করব। সিটি কর্পোরেশন এলাকার সরকারি/বেসরকারি বিভিন্ন অফিস যেখানেই এডিস মশার লার্ভা এবং মশার অস্তিত্ব পাওয়া যাবে সেখানেই আজ থেকে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের মাধ্যমে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলবে এবং দ্বায়িদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এজন্য তিনি সিটির সকল নাগরিককে ঘর-বাড়ী, অফিস ও আশপাশের এলাকা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার অনুরোধ করেন। গাজীপুরে ডেঙ্গু বাড়ছে: ভর্তি ৫৫, চিকিৎসা-৮৮ গাজীপুরে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতাল এবং শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মোট ৫৫জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়েছে। এ যাবৎ এ মাসে মোট ৮৮ ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। টঙ্গীতে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার হাসপাতালে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগী বাড়ছে। তার হাসপাতালে বুধবার ৩৩ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছে। তাদের মধ্যে পুরুষ ২২জন এবং মহিলা ১১জন। জুলাইয়ের ১১তারিখ পর্যন্ত এ হাসপাতালে ৪৬জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, তার হাসপাতালে মোট ভর্তি রয়েছে ২২জন ডেঙ্গু রোগী। তাদের মধ্যে ১৯জন পুরুষ ও ৩জন মহিলা। এ মাসে তার হাসপাতালে মোট ৪২ জন ডেঙ্গুরোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।