আগামী সংসদ নির্বাচন, র্যাবের প্রতি নিষেধাজ্ঞা, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ যেসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি রয়েছে, তা অনেক কমে এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। দুই দেশের দূরত্বও অনেক কমেছে বলে জানান তিনি। বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র এবং মানবাধিকার বিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়াসহ ঢাকায় সফররত প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। রাতে সালমান এফ রহমানের গুলশানের বাসায় দুই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক হয়। বৈঠকে মার্কিন প্রতিনিধি দলের সাত সদস্য এবং বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক (নর্থ আমেরিকা উইং) খন্দকার মাসুদুল আলম অংশগ্রহণ করেন। পরে তারা নৈশভোজ করেন। বৈঠকের বিষয় সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন সালমান এফ রহমান ও শাহরিয়ার আলম। সালমান এফ রহমান বলেন, দুই দেশের মধ্যে কিছু ভুল বোঝাবুঝি নিশ্চয়ই আছে। যদি এটা না থাকত তাহলে নিষেধাজ্ঞা, ভিসা নীতি এগুলো হতো না। আমরা এ ব্যাপারে বলেছি, বন্ধুদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। তবে আলোচনা করে তা দূর করা যায়। এ জন্য যোগাযোগ বাড়ানো প্রয়োজন। আরও আলোচনা হবে। এটি ভালো দিক। আমাদের তারা বুঝতে চাচ্ছেন। বৈঠক সন্তোষজনক উল্লেখ করে সালমান এফ রহমান বলেন, তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। আমরাও তাতে একমত, শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। এর বাইরে মার্কিন প্রতিনিধিদের আর কেনো শর্ত নেই। তারা নির্বাচন প্রশ্নে নতুন কেনো শর্ত দেয়নি। সালমান এফ রহমান জানান, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমাবেশ সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছে মার্কিন প্রতিনিধি দল। তারা দুটি সমাবেশে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন, এভাবে যদি এ ধরনের সমাবেশ চলমান থাকে তাহলে তা অবাধ নির্বাচনের পক্ষে সহায়ক হবে।