‘নাশকতা করলে বিএনপি ভিসানীতির আওতায় পড়ে যাবে’

প্রকাশিতঃ জুলাই ১৮, ২০২৩ | ৮:৫৬ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বিএনপির একদফা আজকের নতুন না। খালেদা জিয়া ২০১৩ সাল থেকে এক দফার আন্দোলন করে যাচ্ছে, সরকার পতনের। এই একদফা দেশের মানুষ দেখেছে। এটি নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। এই একদফা অতীতের মতো পর্যবসিত হবে এবারও।’ তিনি বলেন, ‘বিএনপি লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের বিরুদ্ধে নানাভাবে মিথ্যাচার করে। এতে মাঝেমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নীতি ঘোষণা করে। এ নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন নয়। যা বিএনপির জন্য উদ্বেগের হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ আন্দোলনের নামে তারা অতীতে সন্ত্রাস সহিংসতা করেছে, পেট্রোল ঢেলে গাড়িতে আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে, সরকারের বিভিন্ন সম্পত্তি ধ্বংস করেছে, প্রায় সাড়ে ৩০০ মানুষকে হত্যা করেছে। এসব নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করলে বিএনপি ভিসানীতির আওতায় পড়ে যাবে।’ মঙ্গলবার (১৮ জুলাই) সকালে কুষ্টিয়া সদর উপজেলা পরিষদে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন। হানিফ বলেন, ‘গণমাধ্যমের জন্য বিএনপি মায়া কান্না করছে। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল তখনকার কথা কি ভুলে গেছেন? তাদের সময় ১৩ সাংবাদিক বিএনপি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে। এ সরকারের আমলে গণমাধ্যম অবাধ স্বাধীনতা ভোগ করছে।’ তিনি বলেন, ‘এই সরকারের আমলে অনেকগুলো টেলিভিশন ও পত্রিকাকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আছে বলেই এ সমস্ত মিডিয়াগুলো নতুন করে এসেছে।’ আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপির কর্মসূচি নিয়ে আওয়ামী লীগের মাথাব্যথা নেই। কখনও ছিলও না। এটা নিয়ে মাথাব্যথার কোনও কারণ নেই। কারণ বিএনপি-জামায়াত বিচ্ছিন্ন দল। যে দলের একজন শীর্ষ নেতা দুর্নীতির দায়ে কারাগারে, আরেকজন দুর্নীতি, অনিয়ম, নাশকতাসহ নানান সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে দণ্ডিত হয়ে বিদেশে পলাতক- সেই দল নিয়ে সরকারের ভাবনার কোনও কারণ থাকতে পারে না।’ হানিফ বলেন, ‘বিএনপির নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড ও ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সরকার সজাগ আছে। সরকার দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য, দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সবসময় সচেতন। এই পরিবেশ যাতে বিঘ্নিত করতে না পারে, সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে না পারে সে বিষয়ে সরকার সচেতন আছে। বিএনপির নাশকতা ও ষড়যন্ত্র মেনে নেওয়া হবে না।’ ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘যতটুকু শুনেছি ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। ভোট পড়ার হার খুবই কম ছিল। কারণ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আর দুই মাস বাকি। এ জন্য ভোটারদের মধ্যে তেমন আগ্রহ নেই। গুলশান, বনানী, বারিধারা এলাকার মানুষ ভোটদানে খুব বেশি আগ্রহী থাকে না। তাছাড়া দুই মাসের জন্য ভোটদানে আগ্রহী থাকার কথাও না।’ এ সময় উপজেলা চেয়ারম্যান আতাউর রহমান আতাসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।