সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য সর্বনিম্ন ১০০০ টাকা বিশেষ প্রণোদনা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এছাড়া অবসরে যাওয়া সরকারি কর্মচারীরা ন্যূনতম ৫০০ টাকা বাড়তি পাবেন। চলতি জুলাই থেকেই এই প্রণোদনা কার্যকর হবে। মঙ্গলবার অর্থমন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ১৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জাতীয় বেতন স্কেলসমূহের আওতাভুক্ত সরকারি বেসামরিক, স্ব-শাসিত এবং রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলো, ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও পুলিশ বাহিনীতে নিয়োজিত কর্মচারী এবং পেনশনভোগী ব্যক্তিদের ১ জুলাই থেকে ৫ শতাংশ হারে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হলো। এ বিশেষ সুবিধা চাকরিরতদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ১ হাজার টাকা এবং পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম ৫০০ টাকা হারে দেওয়া হবে। চাকরিরত কর্মচারীরা ১ জুলাই থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই তারিখে প্রাপ্য মূল বেতনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে এক হাজার টাকার কম নয়, বিশেষ সুবিধা পাবেন। অবসরোত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা কর্মচারীরা পিআরএল যাওয়ার পূর্বকালীন সর্বশেষ পাওয়া মূল বেতনের ভিত্তিতে উপরিউক্ত হারে বিশেষ সুবিধা পাবেন। পুনঃস্থাপন করা পেনশনাররাসহ সরকার থেকে পেনশন গ্রহণকারীরা প্রতি বছর ১ জুলাই প্রাপ্য নীট পেনশনের ওপর ৫ শতাংশ হারে, তবে ৫০০ টাকার কম নয়, বিশেষ সুবিধা পাবেন। যেসব অবসর গ্রহণকারী কর্মচারী তাদের গ্রস পেনশনের ১০০ শতাংশ অর্থাৎ সম্পূর্ণ অংশ সমর্পণ করে এককালীন আনুতোষিক উত্তোলন করেছেন তাদের ক্ষেত্রে এ বিশেষ সুবিধা প্রযোজ্য হবে না। জাতীয় বেতনস্কেলে নির্ধারিত কোনো গ্রেডে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের ক্ষেত্রে নির্ধারিত মূল বেতনের ভিত্তিতে এ সুবিধা প্রযোজ্য হবে। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত ব্যক্তি পেনশনভোগী হলে নীট পেনশন অথবা চুক্তিভিত্তিক নিয়োজিত পদের মূল বেতনের ভিত্তিতে যেকোনো এক ক্ষেত্রে এ সুবিধা পাবেন। সাময়িক বরখাস্ত কর্মচারীরা সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার তারিখের অব্যবহিত পূর্বের মূল বেতনের ৫০ শতাংশের ওপর ৫ শতাংশ হারে এ বিশেষ সুবিধা পাবেন। বিনা বেতনে ছুটিতে থাকাকালে কর্মচারীরা এ বিশেষ সুবিধা পাবেন না। সরকারের রাজস্ব বাজেট থেকে প্রদত্ত অনুদানে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ব্যতীত অন্যান্য স্ব-শাসিত সংস্থা ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাংক, বিমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের এ বিশেষ সুবিধা প্রদান বাবদ প্রয়োজনীয় ব্যয় সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব বাজেট থেকে মেটাতে হবে।