আন্দোলনকারী শিক্ষকদের বৈঠক ‘প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত ক্লাসে ফিরব না’

প্রকাশিতঃ জুলাই ২২, ২০২৩ | ১১:৪৭ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

গ্রীষ্মকালীন ছুটি বাতিল করায় আজ সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। তবে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষকরা বলছেন, তাদের চাপে ফেলতে উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাই যতক্ষণ পর্যন্ত তারা প্রধানমন্ত্রীর সাক্ষাৎ না পাবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। শনিবার বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির (বিটিএ) সাধারণ সম্পাদক শেখ মো. কাওছার আহমেদ এ কথা জানিয়েছেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে শিক্ষকদের লাগাতার অবস্থানের দ্বাদশ দিনে কাওছার আহমেদ বলেন, রোববারে ক্লাস শুরুর ব্যাপারে শনিবার বিকাল ৪টায় জেলা, আঞ্চলিক ও মহানগর নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তারা বৈঠক করেছেন। সেখানে আলোচনা হয়েছে যে, আন্দোলন বানচালের জন্যই এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অথচ ডেঙ্গুর ভয়ানক সংক্রমণ এবং গ্রীষ্মের খরতাপের এ সময়ে শিশুদের ঘরে থাকার কথা। তাই এ সময়ে স্কুল খুলে দিলেও তারা ক্লাসরুমে ফিরে যাবেন না। তিনি বলেন, তাদের এখন দাবি একটাই- প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ। তার সাক্ষাৎ না পাওয়া পর্যন্ত তারা ফিরবেন না। তাদের বিশ্বাস, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে পারলেই তাদের দাবি আদায় হবে। এর পরও প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন তারা তাই শুনবেন। কিন্তু শিক্ষকদের মনের কথা তারা প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেনই। এর আগে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষকদের অনেক সংগঠন আছে। তাদের মধ্যে ছোট একটি অংশ এই আন্দোলনে আছে। এতে শ্রেণি কার্যক্রমের কোনো বিঘ্ন ঘটবে না। তাছাড়া আন্দোলনে থাকলেও বিটিএ সাধারণ সম্পাদক কাওছার আহমেদের স্কুলেই নিয়মিত শ্রেণি কার্যক্রম চলছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, শিক্ষকদের এ আন্দোলনে দিন দিন অংশগ্রহণ বাড়ছে। এখন পর্যন্ত সিপিবির সাবেক সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, অধ্যাপক এমএম আকাশ প্রমুখ শিক্ষকদের আন্দোলনে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। এছাড়া কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনও একাত্মতা প্রকাশ করেছে। সেগুলোর মধ্যে আছে- বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি জাতীয়করণ মহাজোট, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম, বাংলাদেশ শিক্ষক-কর্মচারী ফোরাম (মান্নাফি-প্রিন্স), বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণের দাবিতে গত ১১ জুলাই থেকে শিক্ষকরা জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। সেই সঙ্গে তারা গত ১৬ জুলাই থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝোলানোর কর্মসূচি পালন করছেন।