বেলারুশের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসন রাশিয়ার ওপর আগ্রাসন হিসেবে বিবেচনা করা হবে। পুতিনের এমন সতর্কবার্তার পরই শনিবার রাশিয়ায় সফরে গেছেন আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। রোববার সেন্ট পিটার্সবার্গে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেছেন লুকাশেঙ্কো। দুই নেতার বৈঠকে ওয়াগনার গ্রুপ ও ইউক্রেনের পালটা হামলার বিষয়টি উঠে এসেছে। লুকাশেঙ্কো বলেন, ইউক্রেনের পালটা হামলা ব্যর্থ হয়েছে। ওয়াগনার বাহিনী সম্পর্কে তিনি বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী তাদের সেন্ট্রাল বেলারুশে অবস্থান করতে বলা হয়েছে। যদি তারা ওয়ারশ বা পশ্চিম দিকে যেতে চায়, তবুও আমি তাদের নিয়ন্ত্রণে রাখছি। লুকাশেঙ্কো পুতিনের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত। ২০২২ সালে ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর আগে প্রস্তুতি হিসেবে বেলারুশে দফায় দফায় যৌথ সামরিক মহড়া চালায় মিনস্ক-মস্কো। নিজেদের নিরাপত্তার কথা তুলে বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করেছে রাশিয়া। ক্রেমলিনের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে শুক্রবার পুতিন সতর্ক করে বলেন, ‘বেলারুশকে সম্ভাব্য আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে যে কোনো উপায় ব্যবহার করা হবে।’ কয়েক দিন আগে বেলারুশে পারমাণবিক সরঞ্জামও পাঠিয়েছে রাশিয়া। এছাড়া পুতিনের বিরুদ্ধে ওয়াগনার গ্রুপের বিদ্রোহ দমনেও মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় ছিলেন লুকাশেঙ্কো।