আবারও কাদা–ছোড়াছুড়ি কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে

প্রকাশিতঃ জুলাই ২৫, ২০২৩ | ৮:৫১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় প্রবীণ নেতাদের নামে আবারও বিষোদ্‌গার করলেন দলীয় নেতারা। সোমবার বিকেলে যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশ ওই সমাবেশের আয়োজন করে। চৌরঙ্গী কলেজ মাঠে আয়োজিত শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে কুষ্টিয়া–৪ আসনের (কুমারখালী–খোকসা) সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আসগর আলীকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, ‘গত দিন (শুক্রবার) উনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তার জন্য উনি যতক্ষণ পর্যন্ত ক্ষমা না চাইবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত পান্টি ইউনিয়নে আসগর আলীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করলাম।’ সমাবেশে বক্তারা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সদর উদ্দিন খান, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন জাফর, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আসগর আলী, কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল মান্নান খান, যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ তাঁদের সমর্থিত নেতা–কর্মীদের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আজিজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ। তিনি মাত্র চার মিনিট বক্তব্য দেন। বক্তব্যের শেষের দিকে এসে তিনি আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। কান্নাজড়িত কণ্ঠে সংসদ সদস্য বলেন, ‘তাঁদের মুখের কথা তাঁদের কাছেই থাকুক। আমার বিরুদ্ধে কথা বলে যাক, কোনো অসুবিধা নাই। সমস্ত প্রশ্নের জবাব এই কুমারখালী, খোকসার মানুষের কাছে আমি দিয়ে গেলাম।’ এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তিনি কেঁদে ফেলেন এবং বক্তব্য শেষ করেন। সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম। সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন কুমারখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামছুজ্জামান ও সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন খান, খোকসা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবুল আখতার প্রমুখ। এর আগে গত শুক্রবার যদুবয়রা মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একাংশের আয়োজনে অপর এক শান্তি সমাবেশে সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফকে উদ্দেশ করে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসগর আলী বলেছিলেন, ‘রাতের অন্ধকারে এমপি হয়েছ, আমরাই তো তৈরি করেছি। এত অহংকার ভালো না দাদা ভাই। মুরব্বিদের সম্মান করে চলো। তা না হলে সমস্যা হবে।’ সেদিন যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. লুৎফর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সদর উদ্দিন খান, সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহিদ হোসেন, যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তাঁরাও সংসদ সদস্য ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেন।