মালয়েশিয়ার অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ

প্রকাশিতঃ জুলাই ২৭, ২০২৩ | ৮:২১ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

মালয়েশিয়ার সারওয়াকে অবৈধ অভিবাসীদের বৈধ হওয়ার সুযোগ দিয়েছে রাজ্য সরকার। দেশটিতে চলমান রিক্যালিব্রেশন (আরটিকে ২.০) এর অধীনে ৩ডি সেক্টরে নিয়োগকর্তারা অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ করতে পারবেন। বুধবার থেকে শুরু হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া। রিক্যালিব্রেশন (আরটিকে ২.০) এই বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে বলে বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন, দ্বীপ রাজ্য সারাওয়াক প্রিমিয়ার ডিপার্টমেন্টের ডেপুটি মিনিস্টার (শ্রম, অভিবাসন এবং প্রজেক্ট মনিটরিং), দাতুক গেরাওয়াত গালা। ৩ ডি সেক্টরে, উৎপাদন, নির্মাণ, বৃক্ষরোপণ, কৃষি, সেবা, খনি ও খনন এবং সেইসাথে বিদেশি গৃহকর্মীসহ নিয়োগকর্তারা এই বাস্তবায়নের সময়কালে নিবন্ধন করে অবৈধ অভিবাসীদের নিয়োগ দিতে পারবেন। এই কর্মসূচির অধীনে কেবল ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, থাইল্যান্ড, ভারত, ফিলিপাইন, কম্বোডিয়া, লাওস, নেপাল, মায়ানমার, শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান, উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান এবং চীন থেকে এসেছে, এ ১৬টি দেশের অবৈধ অভিবাসীদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আরও তথ্য ইমিগ্রেশন বিভাগের পোর্টাল www.imi.gov.my এ পাওয়া যাবে বলেও রাজ্যের ডেপুটি মিনিস্টার জানিয়েছেন। এদিকে মালয়েশিয়ার দ্বীপ রাজ্য সারওয়াকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদারে চলে কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ। চলতি মাসের ১২ জুলাই রাজ্যের প্রিমিয়ার (রাজ্য সরকার প্রধান) দাতুক পাটিঙ্গি তান শ্রী আবাং জোহারি তুন ওপেংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার। সারাওয়াক রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক সদরদপ্তরে বৈঠক হয়। বৈঠকে দক্ষ কর্মী নিয়োগে রাজ্য সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করে। সারাওয়াক রাজ্যকে সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ প্রস্তুত রয়েছে এবং এক্ষেত্রে হাইকমিশন তথা বাংলাদেশ সরকারের পূর্ণ সহযোগিতার বিষয়ে আশ্বাস দেওয়া হবে বলে জানান হাইকমিশনার। বাংলাদেশ থেকে পেশাভিত্তিক দক্ষ মানবসম্পদ নিয়োগ, রাজ্য অবৈধ বাংলাদেশিদের বৈধতার সুযোগ ও ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণসহ অন্যান্য দ্বিপাক্ষিক সব বিষয়ে কার্যক্রম গ্রহণের জন্য সারাওয়াক রাজ্যের সরকারপ্রধান তার দপ্তরের কর্মকর্তাদের তাৎক্ষিণকভাবে নির্দেশ দেন। বর্তমানে সারাওয়াক প্রদেশে কতজন বাংলাদেশি রয়েছেন- এ বিষয়ে দূতাবাস বা মন্ত্রণালয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। তবে ধারণা করা হচ্ছে রাজ্যে প্রায় ৩ শতাধিক বাংলাদেশি কর্মী রয়েছেন।