স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশে প্রাইভেট সেক্টরে সি সেকশান (সিজারিয়ান) বেশি হচ্ছে। বর্তমানে প্রাইভেট হাসপাতাল ক্লিনিকে গেলে ৭০ শতাংশ গর্ভবতী নারীর সিজার করা হয়। এর কারণে নারীদের কর্মক্ষমতা খর্ব হয়ে যায়। এছাড়া ইন্সটিটিউশনাল ডেলিভারি কম, আশানুরূপ নয়। গ্রামাঞ্চলে ধাত্রীদের মাধ্যমে অসংখ্য ডেলিভারি হয়, যে কারণে এখনো মাতৃ ও শিশুমৃত্যু শূন্যের কোঠায় আনা যাচ্ছে না। এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে। বুধবার রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এ কথা বলেন। জাহিদ মালেক বলেন, আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সময়সীমা বাড়িয়েছি। আগে হাসপাতালে আট ঘণ্টা ডেলিভারি ছিল, এখন ২৪ ঘণ্টায় নিয়ে এসেছি। এতে আশা করছি প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি আরও বাড়বে। আমরা পরিবার পরিকল্পনায় ভালো কাজ করছি। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের যত অর্জনের পেছনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের অবদান বেশি। তাদের কারণেই ভ্যাকসিন হিরো অ্যাওয়ার্ড এসেছে, শিশুমৃত্যুর হার কমে এসেছে। তাদের কারণেই টিএফআর কমে এসেছে। স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. শারফুদ্দিন আহমেদ, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানু, এনডিসি, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মাকসুরা নূর, ইউএনএফপিএর প্রতিনিধি প্রমুখ। অনুষ্ঠানে জনসংখ্যা ব্যবস্থাপনায় অবদান রাখায় বিশিষ্ট ৪ ব্যক্তি ও ৭টি প্রতিষ্ঠানকে পুরস্কার দেওয়া হয়।