গণঅধিকার পরিষদের (একাংশ) আহ্বায়ক রেজা কিবরিয়া বলেছেন, আবারো যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র একবার স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) আরোপ করেছে। সেটা তোলার চেষ্টা করেও সরকার সফল হয়নি। আওয়ামী লীগের চিন্তা করা উচিত স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) আবার আসতে পারে। এখন তাদের সতর্ক হওয়া উচিত। বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও আলোচনা সভায় এ কথা বলেন রেজা কিবরিয়া। রেজা কিবরিয়া বলেন, এখনো আমরা বাইরের দেশের ওপর নির্ভরশীল। আমাদের রপ্তানি আয়, রেমিট্যান্স, বিদেশি সাহায্য এগুলো এখনো তাদের কাছ থেকে আসছে। আমাদের ব্রিজ, রাস্তা এখনো তাদের অর্থায়নে বাস্তবায়ন হয়। সুতরাং তাদের ওপর এখনো আমাদের নির্ভরতা আছে। তাই তারা কি বলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ। তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বলছে। বিরোধীদের দমন-পীড়ন বন্ধ করতে বলছে। তিনি বলেন, টাকা চুরি করেছে ঠিকই কিন্তু এই টাকা তারা ভোগ করতে পারবে না। সরকারের পতন হলে এই টাকা ফেরত আনা হবে। পাচার করা টাকার ব্যাপারে সেসব দেশগুলোই এখন অনুসন্ধান করছে। আমার বাবা হত্যার ১৮ বছর পরও বিচার পাইনি। তারেক-জোবাইদার যে রায় তা জনগণ মানে না। শেখ হাসিনার জজরা যে রায় দেয় সেটা আমরা মানি না। সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেন, সরকার নামেমাত্র সরকার হিসেবে আছে। যদি সরকার থাকত তাহলে হাজার হাজার, লাখ লাখ কোটি টাকা কিভাবে পাচার হয়। বেগম জিয়াকে ছাড়েন। নইলে জনগণ তাকে জেল ভেঙে নিয়ে আনবে। পৌনে ২ লাখ মামলায় ৪০ লাখ লোকের বিরুদ্ধে মামলা দিয়েছেন। এখন এসব বন্ধ করে পদত্যাগ করে সুষ্ঠু নির্বিচারে পথ তৈরি করেন। আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী নাগরিক দলের সহ-সভাপতি ইসমাইল হোসেন সরকারসহ নেতারা।