কুষ্টিয়া কারাগারে বন্দী দুই কয়েদির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে ও আজ শুক্রবার ভোরে তাঁদের মৃত্যু হয়। মারা যাওয়া কয়েদিরা হলেন দৌলতপুর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের মোহাম্মদ আজমল (৬০) ও কুষ্টিয়া শহরের থানাপাড়া এলাকার আবুল কালাম (৪০)। তাঁদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে। কারাগার সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদ আজমল যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। তিনি আগে থেকেই হৃদ্রোগে ভুগছিলেন। এ জন্য ওষুধ সেবন করতেন। গতকাল দিবাগত রাত ১২টার দিকে বুকে তীব্র ব্যথা অনুভব করেন তিনি। সোয়া ১২টার দিকে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। রাত ১টা ১০ মিনিটে তিনি মারা যান। অন্যদিকে আবুল কালাম ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাস কারাদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামি ছিলেন। গত ২৮ জুলাই তিনি কারাগারে যান। রাতে বুকে ব্যথা অনুভব করলে সকাল পৌনে ৬টার দিকে তাঁকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৬টা ৪৫ মিনিটে তিনি মারা যান। কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) তাপস কুমার সরকার বলেন, দুজন কয়েদি হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই মারা যান। তাঁদের একজনের হার্টের সমস্যা ছিল। আরেকজনের পেটে সমস্যা ও বুকে তীব্র ব্যথা ছিল। তিনি মাদকাসক্ত ছিলেন। লাশ দুটির ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার আ. বারেক বলেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশের সুরতহাল শেষে একই হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত করানো হবে। তাঁদের মৃত্যুর বিষয়টি চিঠির মাধ্যমে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে দুটি পরিবারকেও জানানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ দুটি পুলিশের মাধ্যমে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।