তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, যখন যেখানে দরকার সেখানেই থাকবে সরকার’-এ শ্লোগান বাস্তবায়নের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশের অভিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছে যাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অন্যতম ভিত্তি হচ্ছে স্মার্ট সিটিজেন। একমাত্র শিক্ষকরাই তাদের শিক্ষার্থীদের স্মার্ট সিটিজেন হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন। প্রতিমন্ত্রী শনিবার নাটোরের সিংড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সকাল ১০ টায় এসএমএস এর মাধ্যমে অবসর ভাতা প্রদান এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড এর কল সেন্টার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। পলক বলেন, কারণ শিক্ষকরা হচ্ছেন মোমবাতির মত, নিজে জ্বলে মানুষ সমাজ দেশ আর বিশ্বকে আলোকিত করেন। তারা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি নৈতিকতা, মূল্যবোধ, নেতৃত্ব এবং মানবিক গুণাবলীতে শিক্ষার্থীদের আলোকিত করেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনীতির হাতেখড়ি হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর শিক্ষক আব্দুল হামিদের মাধ্যমে। বঙ্গবন্ধু বলতেন, সোনার বাংলা গড়তে সোনার মানুষ চাই। আর এ সোনার মানুষ তৈরি করেন শিক্ষকরা। বঙ্গবন্ধু শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের সংবিধানে পাঁচটি মৌলিক অধিকারের মধ্যে শিক্ষাকে অন্তর্ভূক্ত করেন। এর ফলাফল ছিলো সুদূরপ্রসারী। বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাকেন্দ্রীক চিন্তাধারা ৫০ বছর পরেও সারা বিশ্বের মানুষ অনুসরণ করছে। শিক্ষাকে অগ্রাধিকার প্রদান করে বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা দর্শন অনুসরণ করে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে এমডিজি, এসডিজি’র মত উন্নয়ন পরিকল্পনা। পলক বলেন, বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে যুগোপযোগী প্রযুক্তি শিক্ষার বিকাশে ২০০৮ সালে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ এর রূপকল্প দেন। ওই সময়ে এটি অবাস্তব চিন্তা বলে সমালোচিত হলেও আজ তা অতি বাস্তব। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ এখন প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষায় সারা বিশ্বের অগ্রগামী দেশ। প্রত্যেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের মাধ্যমে প্রযুক্তি শিক্ষার বিস্তার ঘটেছে। প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাত্র ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ সুবিধা থেকে শতভাগ বিদ্যুৎ এবং ৫৬ লাখ ইন্টারনেট সংযোগকে ১৩ কোটি সংযোগে উন্নীতকরণের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে। দেশে আট হাজার ৮৬৩টি ডিজিটাল সেন্টার নাগরিক সেবাকে সহজ করেছে, অর্থ ও সময়ের অপচয় রোধ করেছে, হয়রানি বন্ধ করেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. মাহমুদা খাতুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ বোর্ডের সচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট ওহিদুর রহমান শেখ এবং উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা হক রোজী। অনুষ্ঠানে ৮৪ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কর্মচারীকে এসএমএস এম মাধ্যমে স্ব স্ব ব্যাংক হিসেবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে জমা হওয়া অবসর সুবিধার প্রতীকী চেক হস্তান্তর করেন প্রতিমন্ত্রী পলক।