আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংবিধানের আলোকে যে কোনো শর্ত মেনে নিতে প্রস্তুত রয়েছে সরকার। শনিবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে সাম্যবাদী দল আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আমু বলেন, আজকে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে আন্দোলন করছে। ১৯৯৬ সালে মাগুরা উপনির্বাচনে ব্যাপক কারচুপি ও অনিয়মের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ যখন আন্দোলন করেছিল, তখন খালেদা জিয়া বলেছিলেন- ‘শিশু এবং পাগল ছাড়া কেউই নিরপেক্ষ নয়’। তাই আজকে তাদেরকে প্রশ্ন করতে চাই, কোন শিশু এবং পাগলকে আপনারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য মনোনীত করে আন্দোলন করছেন। ‘তারপরও আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে সংবিধানের আলোকে যে কোনো শর্ত মেনে নিতে রাজি আছি। প্রয়োজনে আনুপাতিক হারে নির্বাচনকালীন সরকারে বিরোধীদের পক্ষ থেকে টেকনোকেট কোটায় মন্ত্রিত্ব দেওয়া হবে’। তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের সহযোগিতায় বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল। ১৫ আগস্ট যারা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করেছিল তাদেরকে চাকরি ও পুনর্বাসন করে জিয়াউর রহমান ওই হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিল বলে প্রমাণ করেছে। তারা সংবিধানকে কাটাছেঁড়া করে মূলনীতিকে উৎখাত করেছিল। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মঈনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন বিএনপির ছায়া সরকার ছিল- উল্লেখ করে আমু বলেন, সেই সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনের ফলে বিএনপি বুঝে গেছে এ দেশের নির্বাচন করে আর তারা কোনোদিন জনগণের ভোটে ক্ষমতায় যেতে পারবে না। এজন্য বারবার নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। সভাপতির বক্তব্যে সম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া বলেন, বিএনপির কোনো আদর্শ নেই, উদ্দেশ্য নেই। তারা যেসব কথা বলে এগুলো পাগলের প্রলাপ ছাড়া আর কিছুই নয়। বাংলাদেশের সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি বাতিল করা হয়েছে আর তা কখনোই ফিরে আসবে না। আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ১৪ দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।