নাটোরের বড়াইগ্রামে পরকীয়ার পারস্পারিক সম্পর্ক অবনতি হলে শাহিন শাহকে (৪৫) হত্যা করে প্রবাসীর স্ত্রীর হোসনে আরা বলে জানান পুলিশ। এই ঘটনায় পুলিশ প্রবাসীর স্ত্রী হোসনে আরা বেগম ও তাদের ছেলেকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার(১২ আগস্ট) দুপুরে নাটোর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানান পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম। নিহত শাহিন শাহ(৪৫) নাটোর সদর উপজেলার কাপুড়িয়া ইউনিয়নের দস্তানাবাদ গ্রামের মোজাহার শাহের ছেলে। পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, ওমান প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী অভিযুক্ত হোসনে আরা\'র সাথে নিহত শাহিন শাহর দীর্ঘদিন ধরে পরকীয়া সম্পর্ক চলছিল। তাদের সম্পর্ক চলমান থাকা অবস্থায় তাদের পারস্পরিক সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই জের ধরে অভিযুক্ত হোসনে আরা শাহিন শাহকে হত্যার পরিকল্পনা করে। এক পর্যায়ে গত (৭ আগস্ট) রাতে শাহিন শাহকে অভিযুক্ত আসামি হোসনে আরার\'র বাড়িতে গেলে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযুক্ত হোসনে আরা শাহিনের খাবারের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে দেয়। খাবার খেয়ে শাহিন শাহ অচেতন হয়ে পড়লে অভিযুক্ত হোসনে আরা গলায় বেল্ট পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে শাহিনের মৃত্যু নিশ্চিত করে। পরবর্তীতে হোসনে আরা এবং তার ছেলে আশরাফুল ইসলাম ইমন দুইজন মিলে তাদের বাড়ির টিউবওয়েলের পাশে গর্ত করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোঃ ফিরোজ শাহ্ (৪৩) বাদী হয়ে বড়াইগ্রাম থানায় হোসনে আরা এবং তার সন্তান আশরাফুল ইসলাম ইমন বিরুদ্ধে লিখিতভাবে এজাহার দাখিল করলে বড়াইগ্রাম থানার মামলা দায়য়ের করেন। পরে আইনশৃংখলার বাহহিনীর সদস্যরা অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত মা ও ছেলেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করলে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। গ্রেফতারকৃত অভিযুকরা হলেন- বড়াইগ্রাম উপজেলার জলন্দা গ্রামের প্রবাসী আইয়ুব আলীর স্ত্রী মোছাঃ হোসনে আরা (৩৫), তাদের ছেলে