যুক্তরাজ্যের রাজনীতিবিদ ও সাংবাদিকসহ ৫৪ জন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে রাশিয়া। তারা আর রাশিয়ায় প্রবেশ করতে পারবেন না। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের দেশের নাগরিকদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার প্রতিশোধ হিসেবে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্তরাজ্যের সংস্কৃতিমন্ত্রী লুসি ফ্রেজার এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি করিম খানের নাম রয়েছে। এ ছাড়া বিবিসি, দ্য ডেইলি টেলিগ্রাফ এবং দ্য গার্ডিয়ানের কয়েকজন সাংবাদিকের নামও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় আছে। খবর বিবিসির। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গন থেকে একঘরে করতে তদবির চালানোর কারণে ফ্রেজারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। আর ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের জন্য দায়ী করে প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী আনাবেল গোলডিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। বিবিসির যে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন প্রধান নির্বাহী ডেবোরাহ টার্নেস, উপস্থাপক ও বিশ্লেষণ সম্পাদক রস অ্যাটকিনস এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমবিষয়ক প্রতিনিধি মারিয়ানা স্প্রিং। তবে বিবিসি বলেছে, তারা বস্তুনিষ্ঠ প্রতিবেদন প্রকাশ করে যাবে। গত মার্চে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে একটি গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল। ইউক্রেন থেকে শিশুদের অবৈধভাবে বিতাড়িত করার অভিযোগে এ পরোয়ানা জারি হয়। তবে মস্কো এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তারা তাদের নিষেধাজ্ঞার তালিকা আরও বাড়াবে। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলাকে কেন্দ্র করে মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় পশ্চিমা দেশগুলো। এসব নিষেধাজ্ঞার একটি ছিল রাশিয়ার কাছ থেকে হীরা, তেল এবং গ্যাস আমদানি না করা। যুক্তরাজ্যও তখন নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং অন্য দেশগুলো মিলে এ পর্যন্ত এক হাজারের বেশি রুশ ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।