১৯৬২ সালের উত্তাল হাওয়া। এদেশ তখন স্বধিকার আদায়ে থেমে থাকেনি কেউ, দিনমুজুর-কৃষক,ছাত্র-জনতা,ও আপমর জনসাধারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে চালিয়ে যেতে থাকে আন্দোলন। কোনো ভয় ,জেল-জুলুম কোনো কিছুরই পরোয়া ছিলো না বঙ্গবন্ধুর। একটি স্বাধীন বাংলা,একটি লাল সবুজের পতাকা ও বাংলার মানুষের মুক্তিই ছিলো তাঁর চুড়ান্ত লক্ষ্য। তাঁরই একান্ত প্রিয় ছিলো ঘনিষ্ঠ সহচর, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, আলহাজ্ব বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী। বাবার দেখানো পথে হরিণাকুণ্ডুর অবহেলিত জনপদের শিক্ষা খাতে রেখেছেন অভাবনীয় অবদান। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি হরিণাকুণ্ডুর নিরাহংকারী হিসাবে খ্যাতি লাভ করে। একের পর এক সরকারের উন্নয়নমুখী কর্মকাণ্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন তিনি। তার মধ্যে সরকারী শিক্ষালয়, হরিণাকুণ্ডু সরকারী বালিকা বিদ্যালয়ের ৬ তলা, এমপিওভূক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হরিণাকুণ্ডু পাইলট স্কুল এণ্ড কলেজ ৪ তলা, সালেহা বেগম মহিলা কলেজের ২ টি ভবনের ৪ তলা, শিশুকলি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৩ তলা,মান্দারতলা-জোড়াপুকুরীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং প্রিয়নাথ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১ তলা, হরিণাকুণ্ডু আলিম মাদ্রাসা ১ তলা ভবনের। অপরদিকে চটকাবাড়ীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ তলা, শিশুকলি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ তলা, পার্বতী কলাকাকলী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ তলা, চিথলিয়াপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ তলা বৈঠাপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ তলা, হরিণাকুণ্ডু বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ তলা, শুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ তলা, জোড়াপুকুরীয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ তলা এবং বিরামপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ২ তলা ভবনের অবকাঠামো উন্নয়নের। তাছাড়া বহুকাংখিত হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বলফিল্ড এর স্টেডিয়ামের কাজ এখনও চলোমান আছে। দানবীর ও অভাবনীয় শিক্ষার অগ্রদূত বর্তমান সময়ে পাল্টে দিয়েছে এই অবহেলিত জনপদের শিক্ষার গুনগত মানকে। তিনি ও পিতার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে থাকেন। একসময়ের অবহেলিত ও অনুন্নত উপজেলা হরিণাকুণ্ডুকে সমৃদ্ধ উপজেলা হিসেবে রুপান্তর করে তিনি প্রমাণ করেছেন একজন রাজনৈতিক নেতা তথা জনপ্রতিনিধির সততা নিষ্ঠা, মেধা,সক্ষমতা এবং জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা থাকলে নিজের নির্বাচনী এলাকাসহ সমস্ত জেলার উন্নয়ন করা সম্ভব। তাঁকে ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডু ২ আসনের রাজনৈতিক অঙ্গনের নিরাহংকার উজ্জ্বল নক্ষত্র বলা হয়ে থাকে যাকে। তিনিই এই জনপদের গণমানুষের জননেতা তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি। জনগণকে সচেতন করতে চালাচ্ছেন নানা মুখী জনসভা। আগামীতে আবারও নৌকা মার্কার বিজয় করার লক্ষ্য দিন-রাত অম্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অপরদিকে মাধ্যমিক ও প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে নিবিড় যোগাযোগ,সুপারিশ ,আন্তরিক সহযোগীতা ও ঐকান্তিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে অগ্রণী ভ্যমিকা রেখেছেন জেলার এই জননন্দিত এমপি সমি।