প্রক্সিকাণ্ডে জড়িত তন্ময়সহ রাবি ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মী বহিষ্কার

প্রকাশিতঃ অগাস্ট ২০, ২০২৩ | ৯:৪৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে জড়িত ছাত্রলীগের চার নেতাকর্মীকে সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। শনিবার ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি সংগঠনবিরোধী, শৃঙ্খলা-পরিপন্থি অপরাধমূলক এবং সংগঠনের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হয় এমন কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত চারজনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো। বহিষ্কৃতরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুশফিক তাহমিদ তন্ময়, শের-ই বাংলা ফজলুল হক হল শাখার যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ, শহীদ হবিবুর রহমান হল শাখার কর্মী মহিবুল মমিন সনেট ও শের-ই বাংলা ফজলুল হক হল শাখার কর্মী শাকোয়ান সিদ্দিক প্রাঙ্গণ। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষে জালিয়াতির মাধ্যমে (বদলি) চান্স পেয়ে পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগে ভর্তি হয় আহসান হাবীব নামের এক শিক্ষার্থী। ভর্তির পরে চুক্তি অনুযায়ী প্রক্সির পুরো টাকা পরিশোধ না করায় এই চার ছাত্রলীগ নেতাকর্মী দ্বারা অপহরণের শিকার হন তিনি। পরবর্তীতে তার মা রেহেনা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে আহসান হাবীবকে উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। উদ্ধারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জালিয়াতির কথা স্বীকার করায় আটক হন আহসান হাবীব। এসময় তিনি প্রক্সি পরীক্ষা দিতে সহায়তাকারীদের নামও জানান সংশ্লিষ্টদের। এঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওইদিনই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আব্দুস সালাম বাদি হয়ে সনেট বাদে বহিষ্কৃত তিনজন এবং প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনের নামে মামলা করেন। এছাড়া, একইদিন প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থীর মা মোছা. রেহেনা বেগম বাদি হয়ে সনেট বাদে বহিষ্কৃত তিনজনসহ অজ্ঞাত আরও দুই-তিনজনের নামে আরেকটি মামলা করেন। তবে, এই ঘটনার সঙ্গে ছাত্রলীগ কর্মী মহিবুল মমিন সনেটের সংশ্লিষ্ট থাকার কথা বিভিন্নভাবে জানা গেলেও দুটি মামলার কোনোটিতেই তাকে আসামি করা হয়নি। ঘটনার দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক ঘটনাটির সাথে সনেটের নাম শোনা গিয়েছিল বলে জানিয়েছিলেন। মামলার পরে আগে থেকেই আটক থাকা প্রক্সি পরীক্ষা দিয়ে চান্স পাওয়া শিক্ষার্থী আহসান হাবীবকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। এছাড়া এ ঘটনায় অন্য আসামিদের কাউকে এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ, যদিও তারা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন।