ভারতের পশ্চিমবঙ্গে স্ত্রীকে হত্যা করেছেন এক চিকিৎসক। হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত অরিন্দম বালা (২৮) নামের ওই চিকিৎসক। শনিবার রাতে রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনার বাগদায় এ ঘটনা ঘটে। বাগদার হেলেঞ্চা পঞ্চায়েতের মণ্ডবঘটা গ্রামের বাসিন্দা অরিন্দম বালা কলকাতার পিজি হাসপাতালে এমডি করছেন। পুলিশ সূত্র জানায়, হত্যাকাণ্ডের পর থানায় আত্মসমর্পণ করেন অভিযুক্ত ডা. অরিন্দম বালা। তার স্ত্রী রত্নতমা দের (২৫) লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। নিহতের পরিবার সূত্র জানিয়েছে, দুই বছর আগে রত্নতমা দে-কে বিয়ে করেন অরিন্দম বালা। বিয়ের পর থেকে তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না। আট মাস আগে শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে চলে যান রত্নতমা। শনিবার রাতে স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন অরিন্দম। রোববার সকালে অরিন্দম তার রুম থেকে বের হয়ে বাবা ও ভাইকে জানান, তিনি তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। অরিন্দমের ভাই অনির্বাণ বলেন, সকালে তার ভাই জানায়, ‘একটা খারাপ কাজ করে ফেলেছি। তোর ভাবির গলায় ছুরি চালিয়েছি। এরপর অরিন্দম বাগদা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহত রত্নতমাও পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক ছিলেন। অরিন্দমকে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন তিনি। অরিন্দমের বাবা বিবেকানন্দ বলেন, ভোরে বড় ছেলে জানায়, ‘ছুরি দিয়ে রত্নতমাকে হত্যা করেছি।’ তিনি বলেন, বৌমা ছেলের ওপর অত্যাচার করত। মেরে খাট থেকে ফেলে দিত। ছেলে কাঁদত আমার কাছে।