ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক হরিণাকুণ্ডু শাখায় কর্মরত মোঃ পান্নু (৪২) আইও -এর বিরুদ্ধে রসায়ন বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপক-কে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠেছে। লোনের টাকা জমা দিতে গেলে ঐ ব্যাংক অফিসারের সাথে কথা কাটাকাটির জের ধরে লাঠি দিয়ে মারতে উদ্যত হওয়া এবং লাঞ্চিত করার ঘটনা ঘটে বলে দাবী করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক আতিয়ার রহমান। লাঞ্চিত ঐ শিক্ষক উপজেলার কেষ্টপুর গ্রামের মৃত্যু ইব্রাহীম মণ্ডলের ছেলে। ২৩ আগষ্ট বেলা ২ টা ২৩ মিনিটের সময়ে কৃষি ব্যাংক হরিণাকুণ্ডু শাখায় লোনের টাকা জমা দেওয়ার জন্য প্রবেশ করলে কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা(আইও) মোঃ পান্নু আমাকে দেখে ক্ষিপ্ত হয়। ব্যাংকের ভিতরে ঢুকার পর চেয়ারে বসতে গেলে রাগান্বিত হয়ে আমার দিকে তেড়ে আসে এবং চেয়ারে বসতে নিষেধ করে। আমি কারণ জানতে চাইলে তিনি আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।পরে ব্যাংকের পিওনকে ব্যাংকের দরজা বন্ধ করে লাঠি আনার আদেশ দেন। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে আমাকে মারতে উদ্যত হলে আমার ভাই তাদেরকে প্রতিহত করে। পরে আমার ভাই ও ব্যাংকের কতিপয় কর্মচারীর সহযোগীতায় আমি কোনো মতে ব্যাংক থেকে বের হয়ে প্রাণে বেঁচে আসি বলেও জানান ঐ ভুক্তভোগী সহকারী অধ্যাপক। আমি নিরুপায় হয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। অধ্যাপককে লাঞ্চিত ও কেনো লাঠি দিয়ে মারধর করতে গেলেন এমন প্রশ্নের জবাবে, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক হরিণাকুণ্ডু শাখায় কর্মরত মোঃ পান্নু প্রথমে কথা বলতে রাজি না হলেও পরে অনুরোধক্রমে তিনি সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনে জানান,উনার লোনের বয়স ১ বছর ৯ মাস। আমি লোনের টাকা চাইতে গেলে উনি আমার উপর আক্রমনাক্তক কথাবার্তা বলেন এবং সে আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেন। বরং উনিই আমাকে মারতে যান বলে দাবী ব্যাংক কর্মকর্তা পান্নু\'র। এদিকে কথা শেষ না হতেই সংযোগ বিছিন্ন করে দেন তিনি। এব্যাপারে ব্যাংকটির ব্যাবস্থাপক মঞ্জুরুল জানান, ঘটনাটি যখন ঘটে আমি জরুরী মিটিংয়ে বাইরে ছিলাম।ঘটনাটি শুনার পর আমি ব্যাংকে এসে আতিয়ার স্যারের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি আমার সাথে কোনো কথায় বলেন না। আমি ব্যাংকের ম্যানেজার যে কোনো অভিযোগ থাকলে আমাকে আগে জানানো উচিৎ ছিলো। তবে একজন গ্রাহকের সাথে যদি এমনটি হয়েই থাকে তাহলে সেটা ভালো হয়নি বলেও জানান তিনি। কৃষি ব্যাংকে সেবা নিতে আসা অধ্যাপককে লাঞ্চিত ও মারধরের ঘটনায় থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ হয়েছে। ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছিলাম। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তাছাড়া ঘটনাটি নেক্কারজনক। অবশ্যই বিষটি তদন্তপূর্বক আইননুসারে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান হরিণাকুন্ডু থানা ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবু আজিফ।