নোয়াখালী: ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সাংবাদিক হেনস্তা শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিতঃ অগাস্ট ২৪, ২০২৩ | ৫:৩২ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

নোয়াখালী সদরে প্যানকেয়ার আইসিইউ হাসপাতাল অ্যান্ড নরমাল ডেলিভারি সেন্টারে অভিযান চলাকালীন সময়ে দেশ টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি সাংবাদিক খায়রুল আনম রিফাতকে হেনস্থাকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে সাংবাদিকরা। বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবের সামনে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের ব্যানারে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মানববন্ধনে ভোরের কাগজ নোয়াখালী প্রতিনিধি মোহাম্মদ সোহেলের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, সাবেক সহসভাপতি শাহ ওসমান সুজন, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার আবু নাছের মঞ্জু, দৈনিক সফল বার্তা সম্পাদক লিয়াকত আলী খান, ইউএনবি নোয়াখালী প্রতিনিধি মেজবাউল হক মিঠু, একাত্তর টেলিভিশনের নোয়াখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নোয়াখালী প্রতিনিধি আকবর হোসেন সোহাগ। এতে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকেরা অংশ নেয়। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় জেলা শহরের প্যানকেয়ার আইসিইউ হাসপাতাল অ্যান্ড নরমাল ডেলিভারি সেন্টারে অভিযান চালায় জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় অসঙ্গতি পেয়ে প্রতিষ্ঠানটির আইসিইউ ও রেডিওলোজি বিভাগ বন্ধ করে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। অভিযান চলাকালীন সময়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে সাংবাদিক খায়রুল আনম রিফাতকে হেনস্থা করে হাসপাতালের লোকজন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে সাংবাদিক হেনস্থাকারী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আলটিমেটাম দেন সাংবাদিকরা। কয়েক দিন আগে বিল না পেয়ে এক রোগীকে আটক ও হত্যার অভিযোগ ওঠে ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে। অভিযানে ওই ঘটনার তদন্ত কর্মকর্তা সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাঈমা নুসরাত জেবিনও উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, অভিযানে আইসিইউ ও রেডিওলোজি বিভাগে চিকিৎসক, নার্সসহ পর্যাপ্ত জনবল না পেয়ে তা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ভোক্তা অধিকারসহ বিভিন্ন আইনে হাসপাতালের মালিক আবদুল মালেক মানিককে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আহসান হাফিজ অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতে অসঙ্গতিপূর্ণ কিছু পেলে আবারও অভিযান চালানো হবে। তবে সাংবাদিক হেনস্তার বিষয়ে তাৎক্ষণিক তিনি কোন প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেননি। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নাঈমা নুসরাত জেবিন বলেন, এ হাসপাতালে নিয়মবহির্ভূতভাবে একজন বিষপান করা রোগীকে ভর্তি করেছে। আবার টাকার জন্য সেই রোগীকে আটক করার অভিযোগের সত্যতা পেয়ে প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।