‘প্রিগোজিন নিজেই মৃত্যু পরোয়ানায় স্বাক্ষর করেছিলেন’

প্রকাশিতঃ অগাস্ট ২৪, ২০২৩ | ৮:৩১ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

রাশিয়ার ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের বিমান বিধ্বস্তের ৩০ সেকেন্ড আগেও সব কিছু স্বাভাবিক ছিল বিমানটির। আকস্মিক বিমান বিধ্বস্ত হয়ে সব যাত্রী নিহত হয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধরত ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডোলিয়াকের মতে, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পর প্রিগোজিনের মৃত্যু অবধারিত ছিল। তিনি বলেন, মস্কো থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে থামার মুহুর্তে প্রিগোজিন তার নিজের মৃত্যু পরোয়ানায় সই করেছিলেন। গত ২৩ জুন প্রায় ২৫ হাজার সেনা নিয়ে ইউক্রেন থেকে রোস্তোভ-দি-অন প্রদেশ দিয়ে রাশিয়ায় প্রবেশ করেন প্রিগোজিন। ওই সময় নিজ সেনাদের রাজধানী মস্কোর দিকে পাঠান তিনি। প্রিগোজিনের এ বিদ্রোহের পর বেজায় ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন পুতিন। তাকে ‘বিশ্বাসঘাতক’ হিসেবে অভিহিত করেছিলেন তিনি। এছাড়া প্রিগোজিনের এ বিদ্রোহকে ‘পেছন থেকে ছুরি মারার’ সঙ্গে মিলিয়েছিলেন তিনি। জার্মান ট্যাবলয়েড বিল্ডকে পোডোলিয়াক বলেন, জুনে প্রিগোজিনের বিদ্রোহ এবং তার ভাড়াটে যোদ্ধাদের রুশ ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশর ঘটনায় ভ্লাদিমির পুতিন ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। তিনি বলেন, এই অভ্যুত্থান প্রিগোজিনকে নিশ্চিতভাবেই ওই পরিণতির দিকে নিয়ে গিয়েছিল। কারণ পুতিনকে যে ভয় দেখায় তাকে তিনি ক্ষমা করেন না। এদিকে ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের মৃত্যুর জন্য ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ দায়ী করেছে ওয়াগনার গ্রুপ সংশ্লিষ্ট একটি টেলিগ্রাম চ্যানেল। সেখানে বলা হয়েছে, সত্যিকারের একজন দেশপ্রেমিক ছিলেন প্রিগোজিন। গ্রে জোন চ্যানেলের পোস্টে বলা হয়, মাতৃভূমির একজন সত্যিকারের দেশপ্রেমিক ছিলেন ইয়েভজেনি প্রিগোজিন। রাশিয়ার বিশ্বাসঘাতকদের কারণে মারা গেছেন তিনি। প্রিগোজিনের মৃত্যুর খবরে রাশিয়ান শহর সেন্ট পিটার্সবার্গে ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর সাবেক সদর দপ্তরের কাছে একটি অস্থায়ী স্মৃতিসৌধ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে ফুল দিয়ে প্রিগোজিনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। ভাড়াটে যোদ্ধা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার গ্রুপের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে বহন করা বিমানটি রাশিয়ার খুজেনকিনো গ্রামের কাছে বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে সাত যাত্রী ও তিন ক্রু ছিলেন।