রোহিঙ্গা সংকট বাংলাদেশের একটি চলমান গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা। আজ ২৫ আগস্ট রোহিঙ্গা সংকট ছয় বছর পূর্ণ হয়ে সাত বছরে পড়েছে। গত এক বছরে এ সংকট সমাধানে বেশকিছু উদ্যোগ ও অগ্রগতি লক্ষ করা গেলেও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনো আলোর মুখ দেখেনি। গত বছর ২৮ আগস্ট মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্ত অঞ্চলে আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর মধ্যকার সংঘর্ষ বাংলাদেশের সীমান্ত অঞ্চলের শান্তি বিনষ্ট করে, তবে বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে এ সংকট মোকাবিলা করে সফলতার সঙ্গে তা নিয়ন্ত্রণ করেছে। মিয়ানমারে চলমান এ সংঘর্ষের কারণে শুধু মিয়ানমারের অভ্যন্তরেই নয়, বরং গোটা অঞ্চলের শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে। দীর্ঘ ছয় বছরের বেশি সময় মিয়ানমারে প্রত্যাবর্তনের উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি না হওয়াতে বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের হতাশা ক্রমে তীব্র হচ্ছে; এর ফলে নানা ধরনের নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো দিন দিন অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। সেখানে প্রতিনিয়ত হত্যা, মানব পাচার, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, গুম, অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এসব কারণে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ও সশস্ত্র হামলার ঘটনাগুলো নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক। মিয়ানমারে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াজুড়ে অপরাধ ও মানব পাচারের ঘটনা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকি হিসাবে দেখা দিয়েছে। মিয়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূল থেকে মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়ায় রোহিঙ্গা এবং বাংলাদেশিদের মানব পাচার এখন একটি গুরুতর সমস্যায় পরিণত হয়েছে। মিয়ানমার থেকে অন্যান্য প্রতিবেশী দেশেও অবৈধভাবে মাদক ও ইয়াবা পাচার উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে ও পুরো দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের জন্য নিরাপত্তার হুমকি তৈরি করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে বিভিন্ন ধরনের মানবিক সেবায় দেশ-বিদেশের শতাধিক সংস্থার ২০ হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করছে। পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হওয়ার কারণে ক্যাম্পে কাজ করতে যাওয়া এনজিও-আইএনজিওর কর্মীরা উদ্বিগ্ন এবং তাদের অনেকে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। অপহরণ, খুন ও আরসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসীদের হুমকির কারণে ২০টির বেশি এনজিও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে তাদের সেবা কার্যক্রম সীমিত রেখেছে এবং কয়েকটি এনজিও কাজ বন্ধ করে দিচ্ছে, যা আশঙ্কাজনক। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ, পরিবেশ বিপর্যয় এবং কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ওপর থেকে চাপ কমাতে বাংলাদেশ সরকার নিজ ব্যবস্থাপনায় ভাসানচরে ৩০ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করেছে, সব মিলিয়ে এক লাখ রোহিঙ্গাকে সেখানে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ স্থানান্তর ব্যয়বহুল, বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের কক্সবাজার থেকে ভাসানচরে নেওয়ার খরচ বহন এবং রোহিঙ্গাদের জন্য ভাসানচরে আরও নতুন অবকাঠামো নির্মাণ করার জন্য বন্ধুরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর কাছে সহায়তা চেয়েছে। নতুন ক্যাম্প নির্মাণ করে দ্রুততম সময়ে যত বেশি রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে নিয়ে যাওয়া যাবে, ততই তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ উদ্যোগে সহায়তা করতে দ্রুত এগিয়ে আসা দরকার। চীনের উদ্যোগে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের আবাসনের জন্য ৭৫০টি প্লটের ওপর ১৫টি নতুন গ্রাম তৈরি করতে একটি পাইলট প্রকল্প হাতে নেয়। রোহিঙ্গাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে এবং রাখাইন রাজ্যের পরিবেশ প্রত্যাবাসন উপযোগী কিনা তা দেখার জন্য ২০ জন রোহিঙ্গাসহ ২৭ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলকে ৫ মে মিয়ানমারের উদ্যোগে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা মডেল ভিলেজ ও ক্যাম্পে ফিরে যেতে চায় না, তারা মিয়ানমারে তাদের নিজ গ্রামে ফিরতে ইচ্ছুক এবং সেখানে ফেরত না যেতে পারলে তারা প্রত্যাবাসনে আগ্রহী নয় বলে জানায়; এর ফলে প্রত্যাবাসন কার্যক্রম কিছুটা থমকে যায়। তবে চীন এ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থেকে তাদের কার্যক্রম চলমান রেখেছে। চীনের এশিয়াবিষয়ক বিশেষ দূত দেং শি জুন ৩০ জুলাই ঢাকা সফরে এসে প্রত্যাবাসন কার্যক্রমের অগ্রগতিতে নতুন মাত্রা এনেছেন। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের ক্যাম্পে ফিরে যেতে চায় না বলে নতুন প্রস্তাবে ক্যাম্প বা মডেল ভিলেজে রোহিঙ্গাদের না নিয়ে তারা যেসব এলাকায় বসবাস করত, সেখানেই তাদের পুনর্বাসনে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মোট রোহিঙ্গার মধ্যে ৫২ শতাংশ নারী। রোহিঙ্গা নারীরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে সমাবেশ করে, তারা তাদের দেশে ফিরতে চায়। রোহিঙ্গাদের মধ্যেও অনেকে স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যেতে প্রস্তুত আছে বলে জানায়। মিয়ানমারের এ উদ্যোগের বিষয়ে জাতিসংঘ ও পশ্চিমা দেশগুলো মিয়ানমারের নিরাপত্তা পরিস্থিতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য নিরাপদ নয় বলে জানায় এবং এ প্রকল্প বন্ধ করতে বলে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরে এলে প্রত্যাবাসন শুরু হবে। চলমান প্রেক্ষাপটে ধারণা করা যায়, মিয়ানমারের পরিস্থিতির পরিবর্তন অনেক সময়ের ব্যাপার। এর ফলে অনির্দিষ্টকালের জন্য এ সমস্যা জিইয়ে রাখার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। মিয়ানমার পশ্চিমা দেশগুলো ও জাতিসংঘকে তাদের দেশে রোহিঙ্গাদের নিয়ে কাজ করতে না দেওয়ায় জাতিসংঘ মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারছে না। জাতিসংঘের মিয়ানমারবিষয়ক বিশেষদূত নয়েলিন হেইজেল মিয়ানমার সরকারের অসহযোগিতার কারণে তার দায়িত্ব পালন করতে না পেরে দায়িত্ব নেওয়ার ১৮ মাস পর পদত্যাগ করেন। বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) ১ মার্চ থেকে রোহিঙ্গাদের জন্য খাদ্য সহায়তা কমিয়ে মাথাপিছু মাসিক বরাদ্দ ১২ ডলার থেকে ১০ ডলার করেছে। পরবর্তীকালে ১ জুন থেকে তা ১০ ডলার থেকে কমিয়ে ৮ ডলার করা হয়েছে, যা হতাশাব্যঞ্জক। রোহিঙ্গারা সম্পূর্ণভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অর্থায়নের ওপর নির্ভরশীল। এর ফলে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খাদ্য সংকট বাড়বে এবং ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ত্রাণকর্মীরা। রোহিঙ্গা সংকটে ত্রাণসহায়তা প্রদানকারী কিছু দেশ ও দাতা সংস্থার প্রতিনিধি জুলাই মাসে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করে। বর্তমানে রোহিঙ্গাদের ত্রাণসহায়তা কমে যাচ্ছে, কিছু দেশ রোহিঙ্গাদের আত্তীকৃত করার প্রস্তাব দিয়েছে, যদিও বাংলাদেশ তা প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের তৃতীয় কোনো দেশে স্থানান্তরের কথা বলে আসছে। বিশাল আয়তন, কম জনবহুল এবং উন্নত যে কোনো দেশ রোহিঙ্গাদের নিতে চাইলে বাংলাদেশ সে প্রস্তাবকে স্বাগত জানাবে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রধান কৌঁসুলি করিম আসাদ আহমাদ খান রোহিঙ্গাদের খাদ্যসহায়তা কমিয়ে দেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন; এর ফলে ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি নারী ও শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে তিনি জানান। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ইমন গিলমোর রোহিঙ্গা সমস্যা মোকাবিলায় চলমান তহবিলের সংকট উদ্বেগজনক এবং রোহিঙ্গাদের জন্য ইইউর সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান, যা উৎসাহব্যঞ্জক। মার্কিন প্রতিনিধিরা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন ও ন্যায়বিচারের জন্য ধৈর্য ধরতে এবং রোহিঙ্গাদের সহায়তায় তাদের পাশে আছে জানিয়ে সংকট মোকাবিলায় আরও ৭৪০ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা করে। রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে এখন চীনের উদ্যোগে মিয়ানমারের নেওয়া পাইলট প্রকল্প, পশ্চিমা দেশ ও দাতা সংস্থার সহায়তা হ্রাস, রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আত্তীকরণ, রোহিঙ্গা নারী ও স্বেচ্ছায় রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার আগ্রহ, কিছু রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনে অনীহা, সব মিলিয়ে নানামুখী ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলছে। রোহিঙ্গা সংকট মিয়ানমার সৃষ্ট একটি বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক সংকট। বাংলাদেশের জন্য এটি একটি বাড়তি চাপ। মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বাংলাদেশ এ সমস্যা টেনে চলছে। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফিরে যেতে হবে এবং দাতাগোষ্ঠীকে এ সমস্যার সমাধান না হওয়া পর্যন্ত মানবিক থাকতে হবে। দ্রুত এ সমস্যা সমাধানে বিশ্ব মানবতাকে এগিয়ে আসতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির কারণে বাংলাদেশ তথা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক নিরাপত্তা হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে প্রতি বছর ১০০ কোটি ডলারেরও বেশি ব্যয় করতে হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার তাদের প্রতি মানবিক সহায়তার দৃষ্টান্ত অব্যাহত রাখবে, তবে জাতীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে দেবে না। মিয়ানমার প্রান্তে প্রত্যাবাসনের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের জন্য যেসব কার্যক্রম গ্রহণ করা দরকার, সেসব বিষয়ে মিয়ানমার সরকার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদ্যোগ নিতে হবে। এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জন্য মিয়ানমারের সামরিক শাসক, বিরোধী জোট, বৌদ্ধ ধর্মীয় সংগঠন, সংখ্যাগরিষ্ঠ ভামার ও রাখাইন জনগোষ্ঠীর বুদ্ধিজীবী ও সাধারণ মানুষ সবাইকে সম্পৃক্ত করতে হবে। রাখাইনের উন্নয়নের জন্য কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে গুরুত্ব দিতে হবে। বাংলাদেশকে এ সমস্যা মোকাবিলায় সামরিক, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, সামাজিক সব ধরনের সক্ষমতা নিয়ে প্রস্তুত থাকতে হবে। সামনের দিনগুলোতে এ সংকট মোকাবিলায় ত্রাণসহায়তা অব্যাহত রাখতে নতুন দাতাগোষ্ঠীর সন্ধান করতে হবে। এটি একটি আঞ্চলিক সমস্যা এবং এর প্রভাব এ অঞ্চলে পড়বে, তাই এ সমস্যা সমাধানে আসিয়ান দেশগুলো ও ভারতকে পাশে রাখতে হবে। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে রোহিঙ্গারা যেসব দেশে আশ্রয় নিয়েছে, সেসব দেশকেও এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে। যে কোনো ধরনের জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণ ও আর্থিক সাহায্য চলমান রাখতে জরুরি ভিত্তিতে আপৎকালীন ব্যবস্থা গ্রহণ ও রিজার্ভ তহবিল গড়ে তোলার ব্যবস্থা নিতে হবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মানবিক সেবাপ্রদানকারী সংস্থাগুলোর কর্মীদের নিরাপদে ক্যাম্পের ভেতরে কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এ দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা সমাধানে একটি বাস্তবায়ন উপযোগী রোডম্যাপ প্রণয়ন করা দরকার, যা বিভিন্ন মেয়াদে সম্ভাব্য সংকট মোকাবিলায় পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাস ও অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টিতে সহায়ক হবে। একটি স্থায়ী কাঠামোর আওতায় সংকট সমাধানের অগ্রগতি ও কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। মিয়ানমারসৃষ্ট এ সমস্যার সঙ্গে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া সাড়ে ১২ লাখ রোহিঙ্গা ও প্রায় ৫ লাখ স্থানীয় মানুষের জীবন, জীবিকা ও নিরাপত্তা জড়িত। বিশাল এ মানবিক সংকট ছয় বছর ধরে বাংলাদেশ বহন করে চলছে, এ চাপ থেকে বাংলাদেশকে অব্যাহতি দিতে সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে ঐক্যবদ্ধ ও মানবিক হতেই হবে। ব্রি. জে. (অব.) হাসান মো. শামসুদ্দীন : মিয়ানমার ও রোহিঙ্গাবিষয়ক গবেষক