বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকারের প্রতি জনগণের ঘৃনা এখন এতটাই তীব্র মাত্রা লাভ করেছে যে, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের সুযোগ পেলে জনগণ তার উপযু্ক্ত জবাব দেবে। তিনি বলেন, সেজন্যই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার সাধারণ জনগণ ও বিএনপিসহ সরকারবিরোধী দলগুলোকে নানা পন্থায় দমন করতে সরকার সবধরণের নিষ্ঠুর পদ্ধতি গ্রহণ করছে। কিন্তু এভাবে নির্যাতন চালিয়ে আওয়ামী সরকার নিজেদেরকে রক্ষা করতে পারবে না। কারণ জনগণ এখন ক্ষমতাসীন ফ্যাসিষ্ট সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসনের বিরুদ্ধে জেগে উঠেছে। বিএনপির ডাকে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণ জানান দিচ্ছে, তারা আর এক মূহুর্তের জন্যও বর্তমান নিষ্ঠুর সরকারকে রাষ্ট্রক্ষমতায় দেখতে চায় না। শনিবার রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব অভিযোগ করেন, শনিবার কুমিল্লার লালমাই উপজেলায় বিএনপি’র বর্ধিত সভায় আকস্মিকভাবে জয়বাংলা শ্লোগান দিয়ে আওয়ামী লীগের ৪০/৫০ জনের একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী নেতাকর্মীদের ওপর ব্যাপক গুলিবর্ষণ করে। তাদেরকে নির্মমভাবে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনাকে ‘কাপুরুষোচিত ও পৈশাচিক’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের দ্বারা গুলিবর্ষণ ও পৈশাচিক হামলায় বেলনগর উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মফিজুল ইসলাম, লালমাই যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ফিরোজ মিয়া, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মনির হোসেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা হাফেজ আবদুর রহমান, যুবদলের সদস্য আরিফ ও ছাত্রদলের সদস্য শরীফসহ অনেক নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা সরকারি নির্যাতনের চলমান ভয়াবহ চিত্র। গুরুতর আহতদের অনেকেই এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মূমুর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন। ক্ষমতা আঁকড়ে রাখতে নিশিরাতের সরকার এতটাই বেপরোয়া হয়ে উঠেছে যে, বিএনপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিকেও বরদাশত করছে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, বিএনপিকে নানাভাবে ভীত সন্ত্রস্ত রাখার ধারাবাহিক সরকারি মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবেই কুমিল্লায় নেতাকর্মীদের ওপর গুলিবর্ষণসহ ন্যাক্কারজনক হামলা চালানো হলো। উদ্দেশ্য একটাই—অবাধ, সুষ্ঠু ও সকলের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে বাদ দিয়ে আবারও একটি তামাশার নির্বাচন করা। সেজন্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কতৃর্ত্ববাদী আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী দেশব্যাপী বিএনপিসহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ওপর নারকীয় হামলা চালিয়ে রক্তের বন্যা বইয়ে দিচ্ছে। বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব কুমিল্লায় বিএনপির শান্তিপূর্ণ বর্ধিত সভায় হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।