সেনা অভ্যুত্থান : গ্যাবনে কী ঘটছে তা জানা যাচ্ছে না

প্রকাশিতঃ আগস্ট ৩০, ২০২৩ | ৬:০৮ অপরাহ্ণ
অনলাইন নিউজ ডেক্স

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা বিশ্বের তীব্র হুশিয়ারির পরও আফ্রিকার দেশে দেশে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করছে। সম্প্রতি নাইজারে গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখান করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখল করে। এবার আফ্রিকার আরেক দেশ গ্যাবনে সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা নিলো সেনাবাহিনী। নাইজারে যখন বিভিন্ন দেশ সেনা অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে তখনি এ ঘটনা ঘটলো। জানা যায়, মধ্য আফ্রিকার দেশ গ্যাবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ তুলে অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলে নিয়েছে সেনাবাহিনীর একটি দল। বুধবার (৩০ আগস্ট) ভোরের দিকে কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তা সম্প্রচারমাধ্যম ‘গ্যাবন ২৪’-এ ভাষণে বলেছেন, নির্বাচন জালিয়াতি করা হয়েছে। যার কারণে ক্ষমতা দখলে নেওয়া হয়েছে। দেশের সব রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সীমান্ত বন্ধ করেছে সেনা সদস্যরা। ভাষণে আরও জানিয়েছে, এখন দেশের সকল নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করছে তারা। গত শনিবারের অনুষ্ঠিত বিতর্কিত নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করেন গ্যাবনের প্রেসিডেন্ট আলি বঙ্গো ওন্দিম্বা। ফলে তৃতীয় মেয়াদে তিনি ক্ষমতায় বসেন। এ বিষয়ে সেনা কর্মকর্তারা বলেন, গ্যাবনের জনগণের পক্ষ হয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি– বর্তমান শাসক অপসারণ করে দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখবো। গ্যাবনের নির্বাচন কমিশন বলছে, ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বঙ্গো ৬৪ দশমিক ২৭ শতাংশ ভোট পেয়েছে। যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালবার্ট আলবার্ট ওন্ডো ওসা পেয়েছেন ৩০ দশমিক ৭৭ শতাংশ ভোট। এই পরিস্থিতিতে সামরিক পদক্ষেপকে ঘিরে আফ্রিকার অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। জনগণের মধ্যে ভীতি ছড়িয়েছে। পথে পথে ভারী অস্ত্র নিয়ে টহল দিচ্ছে সেনা সদস্যরা। দেশটিতে এখন কী ঘটছে তা জানা যাচ্ছে না। প্রেসিডেন্ট কোথায় আছেন তাও জানায়নি সামরিক বাহিনী। এদিকে নাইজার ছাড়তে বেঁধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হলেও পশ্চিম আফ্রিকার দেশটিতেই রয়ে গেছেন ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত সিলভাইন ইত্তে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ফ্রান্সের সঙ্গে নাইজারের কূটনীতিতে ফাটলের জেরে ফরাসি রাষ্ট্রদূতকে দেশ ছাড়তে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয় জান্তা। তবে অভ্যুত্থান নেতাদের সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার কয়েক ঘন্টা পরও ইত্তে দূতাবাসে থেকে যান। এ জন্য তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ। সূত্র: আল জাজিরা