আওয়ামী লীগ সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যকে নির্লজ্জ মিথ্যাচার ও বিভ্রান্তিকর উল্লেখ করে এর প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আমাদের দল নিয়ে মির্জা ফখরুল অর্বাচীনের মতো মিথ্যার ফুলঝুরি ফুটিয়েছেন। এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদানের মাধ্যমে তিনি জাতির সঙ্গে প্রতারণা করছেন। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। স্বাধীনতা অর্জনের আগে ও পরে আওয়ামী লীগ সর্বদা জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে এবং এ দেশের গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। আওয়ামী লীগ এ দেশের গণমানুষের প্রতিনিধিত্ব করা রাজনৈতিক সংগঠন; বিএনপির মতো গণবিরোধী সামরিক শক্তির পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে ওঠা বা সামরিক ছাউনিতে প্রতিষ্ঠিত কোনো রাজনৈতিক শক্তি নয়। তিনি বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে নিজের কারান্তরীণ হওয়ার আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন। তিনি নিশ্চয়ই কোনো অপরাধ করেছেন, তা না হলে কারান্তরীণ হওয়ার আশঙ্কা প্রকাশ করবেন কেন? নিজের অপরাধ ঢাকতে বা বিচার প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত এবং সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে গণমাধ্যমের সামনে অমূলক এই বক্তব্য প্রদান করেছেন তিনি। সেতুমন্ত্রী বলেন, সরকার বিনা দোষে নিরপরাধ কাউকে আটক রাখে না বা সেটা রাখার এখতিয়ারও সরকারের নেই। সরকার নির্দোষ কাউকে কোনো হয়রানি করছে না। দেশের বিচার বিভাগ স্বাধীন। অপরাধী যেই হোক তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান। এখানে কারও সামাজিক বা রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচ্য নয়। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বর্তমান সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ বিরোধী দল-মত দমন কিংবা কোনো ধরনের মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানি করে না। বিএনপি-জামায়াতের যেসব ক্যাডার শত শত নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ও যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করেছে, সন্ত্রাস সৃষ্টি করে দেশের মানুষকে জিম্মি করার অপচেষ্টা চালিয়েছে এবং ফৌজদারি অপরাধ করেছে; আইন প্রয়োগকারী সংস্থা তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কারণ তাদের (বিএনপি-জামায়ত) অগ্নিসন্ত্রাসে যারা নিহত হয়েছেন, তাদের পরিবারের সদস্যদের এবং অগ্নিদগ্ধ যেসব মানুষ এখনো ভয়াবহ যন্ত্রণা ভোগ করছেন তাদের ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে। কিন্তু মির্জা ফখরুল বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মামলা দিয়ে হয়রানির তথাকথিত অভিযোগ উত্থাপন করে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছেন।