মুখে বললেও বাস্তবে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো ক্ষমতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, ‘আমরা মুখে শুধু বলি নির্বাচন কমিশন ক্ষমতাবান, কিন্তু বাস্তবে কিছুই নাই। সংকটটা এত কঠিন সব দায় কমিশনের ওপর দিয়েও লাভ নাই। একের পর এক এমন চলতে থাকলে মান-মর্যাদা থাকবে না।’ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন: প্রত্যাশা ও বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনা ও পর্যালোচনায় তিনি এসব কথা বলেন। ড. তোফায়েল বলেন, ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সেনাবাহিনীর সংশ্লেষ পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করবে। এই পরিবেশ থেকে উত্তরণে আদালতও ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ কোর্টের রায়ের ফলে এই সংকট তৈরি হয়েছে।’ ইসির উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা সবার থেকে পরামর্শ শুনছেন কিন্তু পরামর্শ বাস্তবায়ন করতে পারেননি। না পারার কারণ আপনাদের ব্যাখ্যা করা দরকার। আপনারা প্রিসাইডিং অফিসারের ক্ষমতার কথা বলছেন যে সুষ্ঠু পরিবেশ মনে না হলে সব ফেলে তিনি চলে আসবেন। প্রিসাইডিং অফিসারের ঘাড়ে কয়টা মাথা যে তিনি সবকিছু ফেলে চলে আসবেন।’ ‘এখনো গাইবান্ধা নির্বাচনে দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় নাই’ উল্লেখ করে ইসির উদ্দেশে সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান বলেন, ‘বাস্তবতা আপনাদের অনুকূলে নেই। সরকার না চাইলে কমিশনের পক্ষে ভালো নির্বাচন সম্ভব না।’ বৈঠকে ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত বলেন, ‘বাস্তবে নির্বাচন ব্যবস্থা বিশ্বাসহীনতায় রয়েছে। একটা ভালো নির্বাচন হলেই যে সব সমস্যা সমাধান হবে তা নয়। তবে ভালো নির্বাচন সমাধানের সূচনা হতে পারে। রাষ্ট্রদূতদের লায় দিতে দিতে বিদেশিদের টেনে আনি। এর ফল কি তা আমরা জানি?’