সাবেক সংসদ-সদস্য, ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন এমএ আউয়ালের নেতৃত্বে ১৫টি রাজনৈতিক দলের সমন্বয়ে প্রগতিশীল ইসলামী জোট গঠিত হয়েছে। বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রগতিশীল, ইসলামি এবং সমমনা দলগুলোর এই জোট। ইসলামী গণতান্ত্রিক পার্টি ছাড়াও জোটের অন্তর্ভুক্ত দলগুলো হচ্ছে নেজামে ইসলাম বাংলাদেশ, বাংলাদেশ গণ আজাদী লীগ, বাংলাদেশ তরীকত ফ্রন্ট, বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক লীগ, বাংলাদেশ জনমত পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী জনতা দল (বিএনজেপি), ইসলামী লিবারেল পার্টি, জনতার কথা বলে, বাংলাদেশ স্বাধীন পার্টি, বাংলাদেশ গণতন্ত্র মানবিক পার্টি, সাধারণ ঐক্য আন্দোলন, বাংলাদেশ ইসলামিক গণতান্ত্রিক লীগ ও বাংলাদেশ ইসলামিক ডেমোক্রেটিক ফোরাম। শরিক দলগুলোর চেয়ারম্যানরা জোটের কো-চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা হলেন মাওলানা হারিছুল হক, সৈয়দ সামসুল আলম হাসু, মুফতি মাহাদী হাসান বুলবুল, প্রফেসর কাজী মহিউদ্দিন সৌরভ, খন্দকার এনামুল নাছির, সুলতান জিসান উদ্দিন প্রধান, ফয়েজ আহমেদ চৌধুরী, মাওলানা আতাউর রহমান আতিকি, মো. নাঈম হাসান, ডা. মোহাম্মদ সম্রাট জুয়েল, মো. আখতার হোসেন, হাবিব উদ্দিন আহম্মেদ, মো. আনোয়ার হোসেন ও অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্যে এমএ আউয়াল বলেন, দেশের পরিস্থিতি দিনদিন উদ্বেগজনক জায়গায় যাচ্ছে। নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস জনগণের জীবন। হাসপাতালে-হাসপাতালে মৃত্যুর রোনাজারি। প্রশাসনে নানারকম অনিয়ম, দুর্নীতি। এসব অপতৎপরতা বন্ধ করে স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব সরকারের। একইভাবে সংবিধানসম্মত উপায়ে একটি সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের। আমরা অবিলম্বে নির্বাচন কমিশনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের সব প্রক্রিয়া শুরু করার আহ্বান জানাই। এমএ আউয়াল আরও বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত রুখে দিতে প্রস্তুত। দেড় বছর ধরে আমরা অন্তত ২০টি দলের সঙ্গে আলোচনা ও বৈঠক করে ১৫টি দলকে চ‚ড়ান্ত করে একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।