সপ্তাহের ব্যবধানে ফের আলুর দাম কেজিতে ৫ টাকা বেড়েছে। নতুন করে দাম না বাড়লেও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ডিম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ কিনতে ক্রেতার ৮০-৮৫ টাকা খরচ হচ্ছে। এছাড়া বড় দানার মসুর ডাল সাত দিনের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি আকাশছোঁয়া দামে মসলাজাতীয় সব ধরনের পণ্য বিক্রি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার ও মালিবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে ক্রেতা ও খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য জানা গেছে। বিক্রেতারা জানান, প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ৪৫ টাকা ছিল। প্রতি হালি ফার্মের ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫৪-৫৫ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮০-৮৫ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে একই দামে বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ১০ টাকা বেড়েছে। বড় দানার মসুর ডাল কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা, যা সাত দিন আগেও ১০০ টাকা ছিল। এছাড়া বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি দেশি ও আমদানি করা রসুন ২৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দেশি আদা ৪৫০ এবং আমদানি করা আদা ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি দেশি হলুদ ৪০০ ও আমদানি করা হলুদ ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি শুকনা মরিচ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪২০ টাকা। আর আমদানি করা শুকনা মরিচ সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. ইকরামুল হোসেন বলেন, বাজারে নির্দিষ্ট কয়েকটি পণ্যের দাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাড়ানো হচ্ছে। এর মধ্যে আলু, পেঁয়াজ ও ডিম অন্যতম। এছাড়া সব ধরনের মসলাজাতীয় পণ্যের দাম অনেক বেশি। আর অন্যান্য পণ্য কিনতেও বাড়তি টাকা খরচ করতে হচ্ছে। বাজারে এমন পরিস্থিতিতে আমাদের মতো ক্রেতার হিমশিম খেতে হচ্ছে । জানতে চাইলে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, পণ্যের বাজারে অস্থিরতা চলছে। কিছু পণ্য অযথা দাম বাড়িয়ে ক্রেতাসাধারণকে নাজেহাল করে তুলছে অসাধু সিন্ডিকেট। সরকারের কাছে সব তথ্য আছে; কিন্তু ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। তাই ক্রেতাদের স্বস্তি নেই। ক্রেতার স্বার্থরক্ষায় অসাধুদের আইনের আওতায় আনতে হবে। এদিকে বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় কৃষিপণ্যের উৎপাদন, চাহিদা ও মূল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা সভা শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিম, আলু, পেঁয়াজের দাম সরকারিভাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসকরা (ডিসি) বাজার মনিটরিং করবেন। জেলা-উপজেলাসহ বড় বড় শহরে এই মনিটরিং চলবে। আজকের এই মূল্য ঘোষণার পর সর্বাত্মক শক্তি নিয়ে বাজারের দাম নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা করা হবে।