টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান চার্জ দেওয়ার ঘর থেকে কবির হোসেন (২৭) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে চৈথট্র বটতলী এলাকা থেকে গলায় রশি প্যাঁচানো লাশটি উদ্ধার করা হয়। কবির সংগ্রামপুর ইউনিয়নের খাগরাটা গ্রামের সামাদ আলীর ছেলে। কবির হোসেনকে গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় অটোভ্যান চার্জ দেওয়ার ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন মিনহাজ উদ্দিন (২৮) নামে এক ব্যক্তি। মিনহাজ জানান, কবির যে ঘরে অটোভ্যান চার্জ দেন একই ঘরে তিনিও তার অটোরিকশা চার্জ দেন। ভোর সাড়ে চারটার দিকে গিয়ে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। ভেতরে গিয়ে দেখেন ঘরে কেউ নেই। গলায় রশি প্যাঁচানো অবস্থায় এক কোনে বসে আছেন কবির। পরে সে ঘর থেকে বের হয়ে লোকজনকে ডাকাডাকি করলে স্থানীয়রা এসে পুলিশকে ফোন করে। পুলিশ এসে জানায় কবির মারা গেছেন। নিহতের স্ত্রী হালিমা বেগম জানান, তার স্বামী ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানটি প্রতিদিন চৈথট্র বটতলী এলাকায় চার্জ দেন। প্রতিদিনের মতো শনিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে ভ্যান আনতে সে ঘর থেকে বের হয়ে যান। এরপর ভোর পাঁচটার দিকে এ ঘটনা জানতে পারেন তিনি। হালিমার দাবি, তার স্বামীকে হত্যা করে লাশ এভাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, অটোভ্যান চালানোর পাশাপাশি দেলোয়ার হোসেন, সুমন মিয়া, আরও একজনের সঙ্গে কাঠের ব্যবসা করতেন তার স্বামী। কবির হোসেনের সংসারে সাত বছর বয়সী এক ছেলে এবং তিন বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল গণি বলেন, এই ছেলে ফাঁস দিয়ে কোনোদিন মরতে পারে না। এলাকার কেউ বলতে পারবে না কবির খারাপ ছেলে। তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। প্রশাসনের কাছে দাবি, তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করা হোক। সংগ্রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিনের ভাষ্য, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে বোঝা যাচ্ছে হত্যা করে লাশ এভাবে ফেলে রাখা হয়েছে। লাশের গলায় আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, আমরা যে অবস্থায় লাশ পেয়েছি তাতে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। সেই হিসেবে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।