সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে সাংবাদিকের উপর হামলা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনায় মুল অভিযুক্ত ও মামলার ১নং আসামি সন্ত্রাসী বিকাশকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। শুক্রবার রাত আনুমানিক ১০টায় উপজেলার নগরডালা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। শনিবার (১৬ই সেপ্টেম্বর\') দুপুরে তাকে শাহজাদপুর আমলী আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়। এই ঘটনায় হামলার শিকার সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের নামে শুক্রবার রাত ৮টায় মামলা দায়ের করেন। শরিফুল ইসলাম ‘অপরাধ দমন’ পত্রিকার সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি সেই সাথে শাহজাদপুর সাংবাদিক ফোরাম’ এর সদস্য। সাংবাদিক শরিফুল ইসলামের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় শাহজাদপুর সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে নিন্দা জানানো হয়েছে এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত সবার গ্রেফতার দাবি করা হয়েছে। জানা যায়, শুক্রবার গভীর রাতে শাহজাদপুর থানার উপ-পরিদর্শক আবু তাহেরের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল উপজেলার নগরডালা থেকে তাকে সাংবাদিককের উপরের হামলার নেতৃত্বদানকারী সন্ত্রাসী বিকাশকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বিকাশের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তার বাড়ি থেকে সাংবাদিক শরিফুলের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া মোবাইল উদ্ধার করা হয়। এর আগে বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর\') দুপুর সাড়ে বারোটায় উপজেলার হাবিবুল্লাহ নগর ইউনিয়নের রতনকান্দি উত্তরপাড়া গ্রামের সন্ত্রাসী বিকাশের নেতৃত্বে লোকজন দেশী অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষের উদ্দেশ্যে নগরডালা বাজারের দিকে এগিয়ে যেতে থাকেন\'। পরে বাদলবাড়ি মাজারের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে থাকা সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম ভিডিও করতে থাকেন। ভিডিও করা দেখে সন্ত্রাসী বিকাশ এগিয়ে এসে সাংবাদিক শরিফুলের ব্যবহৃত মোবাইল ছিনিয়ে নেয় এবং সে সহ তার সাথে থাকা ২০-২৫ জন ব্যক্তি সাংবাদিক শরিফুলের উপরে হামলা চালায়।\' স্থানীয়রা আহত অবস্থায় সাংবাদিক শরিফুল ইসলামকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এই ঘটনায় শাহজাদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম মৃধা বলেন, হামলার শিকার সাংবাদিক শরিফুল ইসলাম বাদি হয়ে শাহজাদপুর থানায় ৯ জনের নাম উল্লেখ সহ অজ্ঞাত ২০-২৫ জনের নামে মামলা দায়ের করেছেন\'। মামলা দায়েরের পর দ্রুত সময়ের মধ্যে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত বিকাশকে গ্রেফতার করা হয়। আজ শাহজাদপুর আমলী আদালতের মাধ্যমে সন্ত্রাসী বিকাশকে জেলহজতে প্রেরণ করা হয়েছে, বাকী আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।