মাহসা আমিনির মৃত্যুবার্ষিকী: ইরানি জনগণকে সমর্থন বার্লিনের

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩ | ১০:০১ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

ইরানের নীতিপুলিশের হেফাজতে মাহসা আমিনি নামে এক তরুণীর মৃত্যু হয়ৃ। এরপর সরকারবিরোধী তীব্র বিক্ষোভ শুরু হয় ইরানে। ঘটনার এক বছর উপলক্ষ্যে জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানালেন, ইরানের পাশে আছে বার্লিন। ইরানের জনগণ একা নয়। খবর ডয়েচে ভেলের জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আনালেনা বেয়ারবক মাহসা আমিনির প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর প্রাক্কালে ইরানের জনগণের সঙ্গে বার্লিনের সংহতি প্রকাশের অঙ্গীকার করলেন। ২২ বছর বয়সি এই কুর্দি নারীকে ইরানের নীতিপুলিশ আটককরে। হিজাব ভুলভাবে পরার অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর পুলিশি হেফাজতে তার মৃত্যু হয়। এরপর ইরান সরকারের বিরুদ্ধে বছরের পর বছর ধরে জমে থাকা ক্ষোভ চরম আকার নেয়। ‘নারী, জীবন, স্বাধীনতা\' এই তিনটি শব্দই বারবার শোনা গিয়েছে সেইসময় ইরানের প্রতিবাদী জনগণের স্লোগানে। নিরাপত্তা বাহিনী সহিংস দমন-পীড়ন চালায় প্রতিবাদকারীদের উপরে। বেয়ারবক বলেন, ‘ইরানের বিক্ষোভ খবরের শিরোনামথেকে অদৃশ্য হয়ে গেলেও, আমরা ইরানের জনগণকে একা ফেলে রাখবো না৷ ব্রাসেলস, নিউইয়র্ক এবং জেনেভাতে ইরানের জনগণের ভাগ্য নির্ধারণের বিষয়টিকে এজেন্ডায় রাখব।’ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইইউ ইরানি কর্মকর্তাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে এবং জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘনের দায় নথিভুক্ত করছে যাতে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা যায়।’ অধিকার গোষ্ঠীগুলোর মতে, ইরানে বিক্ষোভকারীদেরউপর দমন-পীড়নে ৫০০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন৷ হাজার হাজার মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷ জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটা মন ভেঙে দিয়েছিলো আমাদের৷ আমরা বাইরে থেকে ইরানের পরিস্থিতির বদল করতে পারব না, তবে ইরানের জনগণের ‘স্বর\' হয়ে উঠতে পিছপা হব না।’ আনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, ইরানে প্রতিবাদী মহিলারা সারা বিশ্বের কাছে সাহসের প্রতীকআনালেনা বেয়ারবক বলেছেন, ইরানে প্রতিবাদী মহিলারা সারা বিশ্বের কাছে সাহসের প্রতীক।