রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র ও চেচনিয়ার নির্মম যুদ্ধবাজ নেতা রমজান কাদিরভকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুক্রবার ইউক্রেনের গোয়েন্দা তথ্যের বরাত দিয়ে মার্কিন দৈনিক নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দা শাখার প্রতিনিধি আন্দ্রি ইউসভ শুক্রবার দেশটির সংবাদমাধ্যম অবজরিভাটেলকে বলেছেন, আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে, যুদ্ধাপরাধী কাদিরভের অবস্থা গুরুতর। তিনি আগে থেকেই নানা ধরনের অসুস্থতায় ভুগছিলেন। সেগুলোই এখন তাকে গুরুতর অসুস্থ করে তুলেছে। কাদিরভের অসুস্থতার খবর একাধিক সূত্রের মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের এই সামরিক কর্মকর্তা। তবে কোনও ধরনের আঘাতের কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েননি বলে জানিয়েছেন আন্দ্রি ইউসভ। তিনি বলেন, কাদিরভ আঘাত পাননি। তার অসুস্থতার বিষয়ে স্পষ্ট হওয়ার জন্য অন্যান্য বিস্তারিত তথ্য প্রয়োজন। তবে তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ রয়েছেন। আমরা তার পুরো স্বাস্থ্য সমস্যার কথা বলছি। গত কয়েকদিন ধরেই রমজান কাদিরভের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন ইউক্রেনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা আন্দ্রি ইউসভ। মাদকের প্রতি তীব্র আসক্তির কারণে চেচনিয়ার এই যুদ্ধবাজ নেতার শারীরিক অবস্থা গত কয়েক মাস ধরে খারাপ বলে গুজব রয়েছে। কিডনি জটিলতাসহ নানা ধরনের সমস্যায় ভোগা রমজান কাদিরভকে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে বলেও অনেকে ধারণা করেন। ২০০৭ সাল থেকে চেচেন প্রজাতন্ত্রের নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাদিরভ। ২০১৪ সালে সামরিক অভিযানের মাধ্যমে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপকে রাশিয়া নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে ক্রেমলিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হয়ে ওঠেন তিনি। আর গত বছর ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনকে ‘বড় জিহাদ’ ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় আসেন কাদিরভ। এমনকি ইউক্রেনের বিরুদ্ধে কম ক্ষতিকর পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি। মার্কিন আরেক সংবাদমাধ্যম দ্য ডেইলি বিস্টের তথ্য অনুযায়ী, রুশ প্রেসিডেন্টের প্রতি অন্ধ আনুগত্যের কারণে চেচেন নেতা কাদিরভকে ‘পুতিনের সৈনিক’ এবং ‘পুতিনের আক্রমণকারী সারমেয়’ নামেও ডাকেন অনেকে। ইউক্রেনে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধে ‘কর্নেল জেনারেল’ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন কাদিরভ। গত জুলাইয়ে নিজের অধীনস্ত কিছু চেচেন সেনাকে বাখমুতের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে মোতায়েন করেন তিনি।