ট্রুডো দেশে ফিরতেই ভারত-কানাডার সম্পর্কে ফাটল

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২৩ | ১০:৩০ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

দিল্লির জি-২০ সম্মেলন থেকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর দেশে ফেরার কয়েক দিনের মধ্যেই ফাটল ভারত-কানাডা সম্পর্কে। ভারতের সঙ্গে পূর্ব ঘোষিত ‘বাণিজ্য মিশন’ নামের বহুল প্রতীক্ষিত বাণিজ্যচুক্তি স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে কানাডা সরকার। এ প্রসঙ্গে আগামী অক্টোবরে দুই দেশের আলোচনা হওয়ার কথা থাকলেও কারণ উল্লেখ না করেই শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার বাণিজ্যমন্ত্রী ম্যারি নাগের মুখপাত্র শান্তি কসেন্টিনো। বলেন, ‘ভারতে আসন্ন বাণিজ্য আলোচনা স্থগিত করছি আমরা।’ ভারতীয় কর্মকর্তারা অবশ্য আগের দিনই বলেছিলেন, ‘কানাডায় রাজনৈতিক ইস্যুতে’ একটি বাণিজ্য চুক্তি আলোচনা স্থগিত করা হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে ট্রুডোর বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেওয়ার পর অতিরিক্ত ৩৬ ঘণ্টা তিনি দেশটিতে অবস্থান করছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, এক ফাঁকে মোদি-ট্রুডোর বৈঠক হতে পারে। কিন্তু তা হয়নি। এমনকি বিদায় জানানোর সময়ও মোদিকে দেখা যায়নি। একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিদায় জানান কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে। সমালোচকরা বলছেন, ট্রুডোকে অবহেলা করার অসন্তোষ থেকেই বেঁকে বসতে পারে কানাডা। রয়টার্স। গত মে মাসে কানাডার বাণিজ্যমন্ত্রী নাগ এবং ভারতের পীযূষ গোয়াল যৌথ বিবৃতি জানিয়েছিলেন, বছরের শেষ নাগাদ তাদের দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে আশাবাদী। যা এখন ভেস্তে যাওয়ার পথে। জি-২০ সম্মেলন থেকেই বিষয়টি ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল। যখন নরেন্দ্র মোদি জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় বসেননি। তখন থেকে দুই দেশের সম্পর্ক নিয়ে গুঞ্জন ওঠে। ২০১৭ সালের জুনে শিখস ফর জাস্টিস (এসএফজে) নামের একটি সংগঠন ২০২০ সালে পাঞ্জাবের স্বাধীনতার দাবিতে এক গণভোটের আয়োজনের ডাক দিয়েছিল। সংগঠনটির পক্ষ থেকে কানাডা ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে এই গণভোটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয় সেই সময়। ভারতে নিষিদ্ধ খালিস্তানপন্থিদের কানাডায় বিতর্ক কর্মকাণ্ডে দিল্লি-অটোয়ার সম্পর্কের অবনতি ২০২৩ সালে দৃশ্যমান। এই বিতর্ক নতুন করে উসকে দিলেন নরেন্দ্র মোদি। দিল্লিতে সদ্য শেষ হওয়া জি-২০ সম্মেলনের এক ফাঁকে তিনি শিখ ইস্যুতে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ট্রুডোর সমালোচনা করেন।