পাবনার ঈশ্বরদীতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ হামলার মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ (৬৫) মারা গেছেন। শনিবার বিকালে রাজশাহী জেলা কারাগার হাসপাতালে তিনি মারা যান। পাবনা জেলা বিএনপির আহবায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আবুল কালাম আজাদ পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার পাকশী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও পাকশী ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। তার গ্রামের বাড়ি পাকশীর বাঘইলে। রোববার আবুল কালামের লাশ নিজ ঈশ্বরদীর পাকশীতে নিজ বাড়িতে আনা হবে। আবুল কালাম আজাদের স্বজনরা জানান, ১৯৯৪ সালে শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ হামলার মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে তার ভাই আবুল কালাম জেল হাজতে ছিলেন। শারীরিক অসুস্থতার কারণে তাকে রাজশাহী জেলা কারাগার হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শনিবার বিকালে তিনি মারা যান। তার দুচোখ অন্ধ ছিল। তাছাড়াও দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ছিলেন। এদিকে জেলা বিএনপির আহবায়ক হাবিবুর রহমান হাবিব অভিযোগ করেন, আমাদের নেতা কর্মীদের ‘অন্যায়ভাবে মিথ্যা মামলায় কারাগারে নেয়া হয়েছে।চিকিৎসা অবহেলায় আবুল কালাম আজাদকে হত্যা করা হয়েছে। একদিন এই হত্যার বিচার করা হবে। তিনি বলেন, এই ফরমায়েসি রায়ে যারা মিথ্যা স্বাক্ষী বা বিচারে জড়িত তাদেরও আমরা বিচার করবো। প্রসঙ্গত, ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনার ট্রেনবহরে গুলিবর্ষণ, বোমা নিক্ষেপ ও হামলার ঘটনায় ঈশ্বরদী রেলওয়ে থানায় মামলা হয়। ২৫ বছর পর ২০১৯ সালের ৩ জুলাই পাবনার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রুস্তম আলী ওই মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে ২৫ জনকে যাবজ্জীবন, ১৩ জন দশ বছর কারাদণ্ড ও ৯ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।