ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবসহ বিএনপির ১২ নেতাকর্মীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ফরিদপুরের জেলা ও দায়েরা জজ আকবর আলী এ আদেশ দেন। ৩০ জুলাই রাতে বিএনপির মিছিল থেকে পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগে বিএনপির ২৪ নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করে মামলা করে পুলিশ। এ মামলায় অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়। আলফাডাঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রবিউল ইসলাম বাঁদি হয়ে মামলাটি করেন। এ মামলায় এজাহারভুক্ত ১৫ জন গত ৭ আগস্ট হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন নেন। হাইকোর্ট ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়ে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণের আদেশ দেন। হাইকোর্টের আদেশ মেনে আজ বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী ফরিদপুরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত বয়স বিবেচনায় মো. রিজাউল ইসলাম, আলমগীর হোসেন ও হাদী রতনের জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। বাকিদের জামিনের আবেদন নাকচ করে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়। কারাগারে পাঠানো নেতারা হলেন- আলফাডাঙ্গা পৌর বিএনপির আহ্বায়ক রবিউল হক রিপন, সদস্যসচিব খোসবুর রহমান খোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম দাউদ, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. আব্দুল্লা আল মিলন, নজরুল ইসলাম, মো. মুন্নু শেখ, হেমায়েত শেখ, হেমায়েত হোসেন মৃধা, সাজ্জাদ হোসেন, সৈয়দ মাইনুল হক, ফয়সাল সরদার ও মফিজুর রহমান। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাদী পক্ষের আইনজীবী উৎপল চক্রবর্তী। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ৩১ জুলাই সোমবার ফরিদপুরে বিএনপির জনসমাবেশে যোগ দিতে আগের দিন রাতে আলফাডাঙ্গায় সরকার বিরোধী একটি মিছিল বের করা হয়। রাত সোয়া ৯টার দিকে মিছিলকারীরা আলফাডাঙ্গা লোকাল বাসস্ট্যান্ডের কাছে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়া সড়কে টায়ারে আগুন জ্বালানো হয়। পুলিশ মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে সাতটি শট গানের গুলি ছোঁড়ে।