স্মরণকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড় ও বন্যায় লিবিয়ায় মৃতের সংখ্যা ১১ হাজার ৩০০ ছাড়িয়েছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও ১০ হাজার ১০০ জন। রোববার জাতিসংঘের মানবিক উদ্যোগ সমন্বয় কার্যালয়ের বরাতে এ তথ্য জানা গেছে। ডেরনা শহরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে উৎকট গন্ধ। সেখানে এখনও মরদেহ ভেসে বেড়াচ্ছে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকারীরা। খবর বিবিসির বন্যার কবল থেকে যারা বেঁচে গেছেন, চিরদিনের জন্য তাদের জীবন বদলে গেছে। ফারিস গাসার নামে এক ব্যক্তি তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হারিয়েছেন। ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, আমাদের বাড়ির ভেতরে থাকতে বলা হয়েছিল। কেন? ঝড় আসছে, তা আমাদের জানানো উচিত ছিল। বাঁধটি যে পুরোনো এবং ভেঙে পড়তে পারে, তা জানানো উচিত ছিল। বন্যায় যেসব ভবন ধসে গেছে, সেগুলোর বেশ কয়েকটি শত বছরের পুরোনো। আমরা আসলে রাজনীতির শিকার। পশ্চিমে একটি সরকার, পূর্বে আরেকটি সরকার। এটি বড় একটি সমস্যা। ২০১১ সালের বিপ্লবের পর সবচেয়ে বড় অনিশ্চয়তায় পড়েছে উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়া। এক যুগ আগে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর পূর্ব ও পশ্চিম দুই অংশে বিভক্ত হয়ে পড়ে লিবিয়া। তবে প্রাণঘাতী বন্যার পর সেই বিভাজন অনেকটাই কমে এসেছে।