প্রয়াত ব্যারিষ্টার নাজমুল হুদার ‘তৃণমূল বিএনপি’তে চলছে নানা সমীকরণ। পরিবর্তন আসছে দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে। বিএনপির সাবেক দুই নেতা দলটির মূল ভূমিকায় আসছেন বলে জানা গেছে। আগামী মঙ্গলবার দলের কাউন্সিলে নতুন নেতৃত্ব ঠিক হওয়ার কথা রয়েছে। রাজনৈতিক মহলে আলোচনা, বিএনপির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মোবিন চৌধুরী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের সাবেক উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার তৃণমূল বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে আসছেন। নাজমূল হুদার প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল বিএনপির বর্তমান চেয়ারম্যান তার মেয়ে অন্তরা হুদা এবং মহাসচিব মেজর (অব.) ডা. শেখ হাবিবুর রহমান। ২০১৫ সালে শমসের মোবিন চৌধুরী বিএনপি থেকে পদত্যাগ করে ২০১৮ সালে বিকল্প ধারায় যোগ দেন। শুরুতে সক্রিয় থাকলেও এখন দলটির কার্যক্রমে তাকে দেখা যায় না। তবে বিভিন্ন সময় কূটনেতিক পাড়ায় তাকে সক্রিয় ভূমিকা রাখতে দেখা গেছে। এদিকে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে নারায়নগঞ্জ সিটি নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী হওয়ায় ২০২২ সালে তৈমূর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। তারপরও দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেন তিনি। ভুল স্বীকার করে দলে ফেরার জন্য লিখিত আবেদনও করেন। কিন্তু দল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সাড়া পাননি। তৃণমূল বিএনপির একাধিক নেতা জানান, নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন পাওয়ার পরপরই দলের প্রতিষ্ঠাতা ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মৃত্যুবরণ করেন। এর পর দলটির নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা শুরু হয়। নাজমুল হুদার মৃত্যুর অনেকদিন পর অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে তার মেয়ে অন্তরা হুদা দলের নেতৃত্বে আসেন। সম্প্রতি ঢাকা-১৭ আসনে উপ-নির্বাচনে অংশ নেয় তার দল। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে দলটির শীর্ষ নেতৃত্বে পরিবর্তন আসছে বলে শোনা যাচ্ছে। তৃণমূল বিএনপির একাধিক নেতা জানান, নিয়মরক্ষার কাউন্সিল করে দলের চেয়ারম্যান অন্তরা হুদাকে সরিয়ে নতুন কমিটি গঠনের কাজ চলছে। শমসের মোবিন চৌধুরী এর আগেও তৃণমূল বিএনপির নেতৃত্বে আসতে চেয়েছিলেন বলে জানান তারা। অনেক চেষ্টা করেও এ বিষয়ে জানতে অন্তরা হুদার সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার সমকালকে বলেন, ‘আমি রাজনীতি করি। দল থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অনেক দিন চেষ্টা করেছি; কিন্তু সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না। এখন একটি প্লাটফর্মে তো যেতে হবে! তবে সেটি অবশ্যই আওয়ামী লীগ হতে পারে না।’ বিএনপির সঙ্গে মিল আছে- এমন একটি প্লাটফর্মই বেছে নিচ্ছেন বলে জানান তিনি। এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও শমসের মোবিন চৌধুরীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।