সরকারবিরোধী কর্মসূচিতে যাচ্ছে না হেফাজত

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩ | ৫:১৬ পূর্বাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

এখনই কঠিন কোনো কর্মসূচি দিয়ে হার্ডলাইনে যেতে চায় না হেফাজতে ইসলাম। নিতে চায় না সরকারবিরোধী অবস্থান। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তারা। সংগঠনের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে করা মামলা ও জেলে আটক নেতাকর্মীর মুক্তির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে চায় হেফাজত। আলোচনা ফলপ্রসূ না হলেই কেবল কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামবে তারা। সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বলে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে আগামী বৃহস্পতিবার হেফাজতে ইসলামের নতুন কমিটির প্রথম পরিচিতি সভা ডাকা হয়েছে। ওই দিন সকালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির আজিজুল উলুম বাবুনগর মাদ্রাসায় এ সভা অনুষ্ঠিত হবে। শনিবার সমকালে ‘নতুন কমিটি ঘিরে বাড়ছে হেফাজতের পুরোনো দ্বন্দ্ব’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশের পর রোববার এ সভার তারিখ ঘোষণা করা হলো। হেফাজতের আমির মুহিবুল্লাহ বাবুনগরী সভায় সভাপতিত্ব করবেন। গত ৩১ আগস্ট হেফাজতে ইসলামের ৫৩ সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ ও ২১১ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়। সূত্র জানায়, অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় মাঠ পর্যায়ে কর্মসূচি নিয়ে আন্দোলনে যাওয়ার বিষয়ে একমত হতে পারছেন না সংগঠনটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ভিন্নমত রয়েছে। নির্বাচনের আগেই দেশের প্রতিটি উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে হেফাজতের অবস্থান শক্তিশালী করতে সংগঠন পুনর্গঠন করতে চান তারা। সংগঠনের পরিচিতি সভায় এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হেফাজতে ইসলামের সহকারী মহাসচিব মাওলানা জাকারিয়া নোমান ফয়জী সমকালকে বলেন, সংগঠনের অনেক নেতাকর্মী জেলে রয়েছেন। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। মামলা প্রত্যাহার ও নেতাকর্মীর মুক্তির বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এজন্য সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা চলছে। এটা না হলে হেফাজত কঠোর কর্মসূচি নিয়ে মাঠে যেতে বাধ্য হবে। তবে কর্মসূচি দেওয়ার আগে দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিটা বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মীর ইদ্রিস সমকালকে বলেন, নতুন কমিটির প্রথম সভায় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। হেফাজতের বিভিন্ন পর্যায়ের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলোচনা কিংবা আন্দোলনের বিষয়ে নির্বাচনের আগেই ফয়সালা করতে চান তারা। শেষ পর্যন্ত আলোচনা সফল না হলে, অর্থাৎ নেতাকর্মীকে কারামুক্ত ও মামলার বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া না পেলে শেষ পর্যন্ত হার্ডলাইনে যাবে হেফাজত। এজন্য তৃণমূল পর্যায়ে সংগঠনকে শক্তিশালী করাকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তবে কোনো রাজেনৈতিক দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধে আন্দোলনে যাবে না তারা।