রাজধানীতে স্ত্রী হত্যায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড কমে যাবজ্জীবন

প্রকাশিতঃ সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৩ | ৮:০৩ অপরাহ্ন
অনলাইন নিউজ ডেক্স

রাজধানীর আদাবরের শেখেরটেক এলাকায় ১১ বছর আগে দাম্পত্য কলহের জেরে স্ত্রী চন্দনা হত্যা মামলায় তার স্বামী সাজু মিয়া ওরফে সাধনকে মৃত্যুদণ্ডের পরিবর্তে যাবজ্জীবন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার আসামির ও রাষ্ট্রপক্ষের করা পৃথক আবেদনের শুনানি নিয়ে এই রায় দেন। রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের ডেথ রেফারেন্স ও আসামির করা জেল আপিল খারিজ করা হয়। পাশাপাশি বিচারিক আদালতের আসামি সাজুর মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ আহাম্মেদ হিরো, আবু নাসের স্বপন ও মির্জা মোহাম্মদ শোয়েব মুহিত। অন্যদিকে আসামিপক্ষে শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নারগিস আক্তার। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১০ সালের ২২ এপ্রিল আসামি সাজু মিয়ার সঙ্গে চন্দনার বিয়ে হয়। কিন্তু দাম্পত্যজীবনে বনিবনা না হওয়ায় ওই বছরের ২ আগস্ট সাজুকে তালাক দেন চন্দনা। পরে পারিবারিকভাবে মীমাংসা হলে ওই বছরের ২৮ অক্টোবর চন্দনা ও সাজুর পুনরায় বিয়ে হয়। তারা ২০১২ সালের ১ মে আদাবরের শেখেরটেক এলাকায় সাবলেট নেন। ১৪ মে রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহের এক পর্যায়ে সাজু ঘরে থাকা কাঁচি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে চন্দনাকে হত্যা করেন। হত্যাকাণ্ডের ১৫ দিন পর সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেন। পরে আইনি বিধান অনুসারে ওই মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আর আসামিও জেল থেকে আপিল করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ডেথ রেফারেন্স ও জেল আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেন হাইকোর্ট।